আইন-আদালত

ধর্মীয় উসকানি : খালেদার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ২ ডিসেম্বর

ধর্মীয় উসকানি ও বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

Advertisement

আজ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) এ মামলার অভিযোগ গঠনে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে খালেদার আইনজীবী অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর জন্য আবেদন করলে ঢাকা মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নুর সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন করে এ দিন ধার্য করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে হিন্দু সম্প্রদায়ের শুভ বিজয়ার অনুষ্ঠানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ পরে আছে। আসলে দলটি ধর্মহীনতায় বিশ্বাসী।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সব ধরনের মানুষের ওপর আঘাত করে। আর লোক দেখানো ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দখল করে নেয়। ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ পরা এ জবর-দখলকারী সরকারের হাতে কোনো ধর্মের মানুষই নিরাপদ নয়।’

Advertisement

ওই বক্তব্যের জের ধরে দণ্ডবিধির ১৫৩ (ক) ও ২৯৫ (ক) ধারায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর হাকিম মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর নালিশি মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী। পরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর মামলাটি শাহবাগ থানার পরিদর্শক পদমর্যাদার এক কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।

২০১৮ সালের ৩০ জুন দুই মামলায় অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ও শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাফর আলী বিশ্বাস।

২০১৯ সালের ২০ জানুয়ারি মানহানির মামলার প্রতিবেদন আমলে নিয়ে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম। গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সেদিন গুলশান থানাকে নির্দেশও দেয়া হয়। ১৮ জুন হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ হাফিজ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ মামলায় খালেদা জিয়ার ছয় মাসের জামিন মঞ্জুর করেন।

২০১৯ সালের ২৯ জুলাই মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় বদলির আদেশ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমান।

Advertisement

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা দুই মামলায় ১০ ও ৭ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন খালেদা জিয়া। আপিলে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের কারাদণ্ড বাড়িয়ে ১০ বছর এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিশেষ আদালত তাকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে খালেদা জিয়াকে বন্দি রাখা হয়। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) বন্দি কয়েদি হিসেবে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

জেএ/আরএস/পিআর