বাগেরহাট শহরের পতিতা পল্লীতে বিক্রি হওয়া গৃহবধূ শিউলি বেগমকে (২৫) উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় পতিতা পলীর সর্দারনী সোনিয়া আক্তারকে আটক করে পুলিশ। ঘটনাটি গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের। এদিকে এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী নান্না হাওলাদার বাদী হয়ে বাগেরহাট মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। নান্না হাওলাদার জানান, সাংসারিক বিরোধের কারণে তার স্ত্রী শিউলি বেগম গত ৩/৪ মাস আগে শিশু সন্তান সাজ্জাদকে বাড়িতে রেখে রাগ করে বের হয়ে আসে। এরপর বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে থাকার পর বাড়িতে ফেরার উদ্দেশ্যে তার স্ত্রী বাগেরহাট বাসস্ট্যান্ডে আসে। সেখান থেকে বাগেরহাট শহরের লিটু ও জাকির নামের দুই প্রতারক তাকে ফুসলিয়ে বাগেরহাট পতিতা পল্লীতে এনে সোনিয়া আক্তার নামের এক যৌনকর্মীর কাছে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেয়। বাগেরহাট যৌনপল্লীতে তার স্ত্রীকে আটকে রাখা হয়েছে এমন খবর পেয়ে তিনি বাগেরহাট শহরে এসে তার স্ত্রীকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে যৌনকর্মীদের সর্দার সোনিয়া আক্তার তার কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করে এবং টাকা পরিশোধ করেই শিউলিকে নিয়ে যেতে হবে বলে জানায়। এক পর্যায়ে নিজের স্ত্রীকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়ে বাগেরহাট পুলিশ সুপার বরাবরে আবেদন করেন নান্না হাওলাদার। পরে পুলিশ সুপারের নির্দেশে মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট মডেল থানা পুলিশ শিউলি বেগমকে পতিতা পল্লী থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং সোনিয়া আক্তারকে আটক করে। বাগেরহাট মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোজাম্মেল হক জানান, গৃহবধূকে পতিতা পল্লীতে বিক্রির অভিযোগে থানায় ৩ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গৃহবধূর স্বামী নান্না হাওলাদার বাদী হেয়ে সোনিয়া আক্তার, লিটু ও জাকিরকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনায় সোনিয়া আক্তারকে আটক করে বুধবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিদের আটক করতে পুলিশি অভিযান অব্যহত আছে বলে তিনি জানান।শওকত আলী বাবু/ এমএএস/পিআর
Advertisement