রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশদ্বার মাদারীপুর জেলার শিবচরের কাওড়াকান্দি ঘাট। বুধবার সকাল থেকে এ ঘাটে যাত্রীদের ঢল নেমেছে। লঞ্চ, স্পিডবোট, ফেরিতে উপচে পড়া ভীড় যাত্রীদের। কাওড়াকান্দি ঘাট থেকে পরিবহনশূন্য ফেরি শিমুলিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেলেও শিমুলিয়া ঘাট থেকে পরিবহন ও যাত্রী বোঝাই হয়েই শিবচরের কাওড়াকান্দি ঘাটে এসে ভিড়ছে। তবে বৈরী আবহাওয়ার জন্য লঞ্চ, স্পিডবোটের চেয়ে সাধারণ যাত্রীরা ফেরিতে বেশি পার হচ্ছে বলে কাওড়াকান্দি ফেরিঘাট সূত্রে জানা গেছে।বিআইডব্লিউটিসির কাওড়াকান্দি ঘাট সূত্র জানায়, বুধবার সকাল থেকেই দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের ঢল নেমেছে শিবচরের কাওড়াকান্দি ঘাটে। অন্যান্য দিনের চেয়ে বুধবার ফেরিতে যাত্রীদের সংখ্যা ছিল লক্ষ্যণীয়। বৈরী আবহাওয়ায় পদ্মা উত্তাল থাকায় সাধারণ যাত্রীরা ফেরিতে স্বাচ্ছন্দে পদ্মা পার হয়।বর্তমানে নৌরুটে ৪টি রোরো ফেরিসহ ১৮টি ফেরি চলাচল করছে।কাওড়কান্দি ঘাট সূত্র আরো জানায়, বুধবার সকাল থেকে শিমুলিয়াগামী পরিবহনের সংখ্যা ছিল খুবই কম। তবে দুপুরের দিকে গরুবোঝাই বেশ কিছু পরিবহন পার হয়েছে।এদিকে সারাদিনই থেমে থেমে বৃষ্টিপাতের কারণে ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগ ছিল বেশি। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের এক অংশ পরিবহনের চাপে বন্ধ থাকায় যাত্রীদের প্রায় তিন কি.মি পথ পায়ে হেঁটে গন্তব্যের গাড়িতে উঠতে হচ্ছে। তবে যানজট এড়ানোর জন্যই প্রশাসন কাওড়াকান্দি ঘাট এলাকায় কোনো পরিবহন পার্কিং করতে দেয়নি বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।ঘাটে ঘরমুখো যাত্রীদের নির্বিঘ্নে ঘরে ফেরা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের রয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নৌযানসহ পরিবহনের অতিরিক্ত যাত্রী এবং বাড়তি ভাড়াসহ যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় ঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছে বলে জানা গেছে। শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, যাত্রীদের ঘরে ফেরা নিশ্চিত করতে কাওড়াকান্দি ঘাটে কোনো রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে না ঘটে সেদিকে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। এ বছর প্রশাসনের অন্যান্য সদস্যদের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও যোগ দিয়েছে। এছাড়া চুরি, ছিনতাই, মলমপার্টির ব্যাপারে প্রশাসন সর্তক রয়েছেন। আর বাড়তি ভাড়া নেয়ার কোনো সুযোগ থাকছে না। আমরা অভিযোগ পেয়ে বুধবার সকালে তিনটি পরিবহনকে সাড়ে দশ হাজার টাকা জরিমানা করেছি।একেএম নাসিরুল হক/এসএস/পিআর
Advertisement