বাসার সঙ্গে বাড়ির পাশেই খেলছিল দুই বছরের সুরজিত্। এ সময় অসাবধানতাবশত ৬৫ ফুট গভীর এক কুয়ার ভেতর পড়ে যায় সে। আশপাশে কেউ না থাকায় বিষয়টি প্রথমে কারও নজরেই আসে না।
Advertisement
গত শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে ভারতের তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লী তিরুচিরাপল্লি জেলার মানাপ্পারাই শহরের অদূরে নাদুক্কাট্টুপাট্টি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এরপর প্রায় ১৮ ঘণ্টা ওই গভীর কুয়াতেই আটকে ছিল শিশুটি। অবশেষে অনেক চেষ্টায় শনিবার (২৬ অক্টোবর) ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ)-এর বিশেষ টিম শিশুটিকে উদ্ধার করেছে।
স্থানীয় পুলিশের সিনিয়র অফিসার জিয়াউল হক জানান, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলাকারী দলকেও খবর দেয়া হয়। উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর যে কুয়াতে শিশুটি পড়ে গিয়েছিল, তার পাশে একটি সুড়ঙ্গ খোঁড়া শুরু করে। এই সুড়ঙ্গ দিয়ে প্রথমে কাদামাটি বের করে আনার পরিকল্পনা করা হয়। তারপর শিশুটি উদ্ধার করে একইপথে বের করে আনা হবে। কিন্তু বিপত্তি বাধে অন্য জায়গায়। সুড়ঙ্গ খোঁড়ার সময় পাথরে আঘাত লাগে। সেই সময়েই খোঁড়া বন্ধ করে দেয়া হয়। কোনোভাবে খুঁড়তে গিয়ে পাথর আলগা হয়ে শিশুটির বিপদ হতে পারতো বলে এনডিআর টিম আশঙ্কা করে।
তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সি বিজয়ভাস্কর জানান, শিশু সুরজিৎ কুয়ার ভেতর ২৬ ফুট নিচে আটকে গিয়েছিল। তাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য ওপর থেকে ক্রমাগত অক্সিজেন পাঠানো হচ্ছিল। কিন্তু প্রায় ১৮ ঘণ্টা পানি ও খাবার ছাড়া ছিল সে। এ যাত্রায় বড় ধরনের কোনো অঘটন ঘটেনি। একটি পাইপে কুয়োর তলায় করে দড়ি পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু শিশুটির হাতে সেই দড়ির ফাঁস জড়িয়ে ওপরে তোলার সময় হাতের বাঁধন শেষ মুহূর্তে আলগা হয়ে যায়। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় উদ্ধারকারী দল সেখান থেকে শিশুটিকে উদ্ধারে সক্ষম হয়।
Advertisement
এমএসএইচ