জাতীয়

ট্রেনের ছাদেও তিল ধারণের ঠাঁই নেই

আর একদিন পর পবিত্র ঈদ-উল-আজহা। ঈদের ছুটির আগে শেষ কর্মদিবসে পরিবার পরিজনদের সঙ্গে ঈদ করতে ঘরে ফেরা যাত্রীদের উপস্থিতিতে মুখরিত রাজধানীর রেলওয়ে স্টেশনগুলো। বুধবার সকাল থেকেই কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। প্রতিটি ট্রেনের ভেতরে যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। এমনকি যাত্রীদের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে উঠতেও দেখা গেছে। সেখানেও ঠাঁই মেলা দায়। পুলিশের তদারকি কম থাকায় এমনটি ঘটছে।দুই তিনটি ট্রেন ছাড়া বাকি বেশিরভাগ ট্রেনের শিডিউল ঠিক থাকায় তেমন ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি যাত্রীদের দাবি স্টেশন কর্মকর্তার।  এদিকে বুধবারও অনেক ট্রেনের দেরিতে ছাড়ার কারণে যাত্রীদের স্টেশনে বসে থাকতে দেখা গেছে। সিরাজগঞ্জগামী যাত্রী মাহমুদ হোসেন বলেন, অনেক কষ্টে আসনবিহীন টিকিট কেটেছি গ্রামে যাবো বলে। ট্রেন দেরিতে ছাড়বে জেনেও যানজটের ঝামেলা এড়াতে অপেক্ষা করছি। ট্রেনটি সকাল ১১টা ২০ মিনিটে ছাড়ার কথা। এখনো (দুপুর পেরিয়ে গেলেও) ছাড়েনি। যদিও কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী জাগো নিউজকে বলেন, ঈদ উপলক্ষে ছাড়া বিশেষ ট্রেনগুলো এখন পর্যন্ত সঠিক সময়ে ছাড়ার কারণে যাত্রীদের কোনো ভোগান্তি হচ্ছে না। দেরিতে ট্রেন ছাড়ার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, রাজশাহীর ধূমকেতু এক্সপ্রেস দেরিতে আসার কারণে ৩ ঘণ্টা দেরিতে ছেড়েছে। এখন পর্যন্ত ২৪টি ট্রেনের মধ্যে বেশির ভাগ ট্রেন মোটামুটি ঠিক সময়েই কমলাপুর ছেড়ে গেছে। চট্টগ্রামগামী চট্টলা এক্সপ্রেস এক ঘণ্টা দেরিতে ছেড়েছে।  এদিকে বুধবারও চাপাইনবাবগঞ্জগামী রাজশাহী এক্সপ্রেস সকাল ১১টা ২০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও নির্দিষ্ট সময়ের তিন ঘণ্টা পরেও স্টেশনে এসে পৌঁছাতে দেখা যায়নি। ছাড়ার সম্ভাব্য সময়ও বলছে না কর্তৃপক্ষ। এর কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ট্রেনটি লোকাল ও মালবাহী তবে ঈদের সময় যাত্রী বহন করে। ট্রেনটি স্টেশনে দেরিতে আসার কারণে ছাড়তে দেরি হয়।   এদিকে নাড়ির টানে এসব মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটছেন নিজ নিজ গন্তব্যে। বাড়ি ফেরার আনন্দই অন্যরকম। সে রকমই একটা আনন্দ বিরাজ করছে তাদের মাঝে।রাজশাহীগামী সিল্ক সিটির যাত্রী ফাতেমা আক্তার বলেন- আজ শেষ অফিস ছিল, আধা বেলা অফিস করে চলে এসেছি। রাজশাহী যাবো, ভিড় আর বিড়ম্বনা এড়াতে ট্রেনে যাবো। কিন্তু এখানেও সেই দেরি। কি আর করার বসে আছি। কখন ট্রেন ছাড়বে তার কোনো ঠিক নেই।ঈদে যাত্রীদের সুবিধার্থে পাশ্র্ববর্তী এলাকাগুলোর বিভিন্ন লোকাল ট্রেনে আসনবিহীন টিকিট দিচ্ছে কমলাপুর রেলওয়ে। সেখানেও ঈদযাত্রী মানুষদের দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। অনেকে বাড়ি যাওয়ার টিকিট পেয়ে বেশ খুশি।  এসআই/এসএইচএস/পিআর

Advertisement