ইরাকের রাজধানী বাগদাদে ফের নতুন করে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। শুধু বাগদাদ নয় দেশের অন্যান্য শহরেও এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ায় একদিনে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে অন্তত ৪০ জনে। ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান ৪০ জন নিহতের কথা বললেও দেশটির সরকারি সূত্র তা ৩০ বলে জানিয়েছে।
Advertisement
ব্যাপক দুর্নীতি, গণহারে বেকারত্ব এবং নাগরিক সেবা দিতে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে দেশটির মানুষ বিশেষ করে তরুণরা ইরাকের রাজপথে প্রথম দফায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু করে। তারা এসব সমস্যার সমাধান চায়। কিন্তু সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর বিক্ষোভ দমনাভিযানে দেড় শতাধিক মানুষ নিহত হয়।
নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক প্রতিরোধে শত শত মানুষ নিহত হওয়ার পর বিক্ষোভ কিছুদিনের জন্য স্থগিত করার ঘোষণা আসে। তবে এও জানানো হয়, বিক্ষোভ ফের শুরু হবে। তারই প্রেক্ষিতে গতকাল শুক্রবার বাগদাদের গ্রিন জোন থেকে বিক্ষোভ ফের শুরু হলে তা এখন গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
বিক্ষোভ শুরু হওয়া মাত্রই ইরাকের পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়া শুরু করে। ইরাকি অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকালের এই বিক্ষোভে বাগদাদসহ দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশে বাশরা, মায়াসান, ধিকার এবং মুত্থানায় অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছে।
Advertisement
ইরাকের মানবাধিকার কমিশনার ও একজন পর্যবেক্ষক গতকাল শুরু হওয়া দ্বিতীয় দফার এই বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহতের সংখ্যা ৩০ জন বলে জানিয়েছে। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, গতকালের বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে দুই হাজারের বেশি বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন।
শুক্রবার সকাল থেকে মধ্য বাগদাদের তাহরির স্কোয়ারে জমায়েতে হতে শুরু করেন শত শত মানুষ। কংক্রিটের দেয়াল ঠেলে তাদের কেউ কেউ গ্রিন জ়োনে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। ওই অংশে ইরাকের পার্লামেন্ট এবং মার্কিন দূতাবাসসহ বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশের দূতাবাস রয়েছে।
২০০৩ সালে ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের কিছু দিন পরে তৈরি হয়েছিল এই গ্রিন জোন। অনেকে একে শহরের মধ্যে আর একটা শহর হিসেবে দেখেন, যেখানকার বাসিন্দারা বাগদাদের অন্য যেকোনো অংশের তুলনায় অনেক বেশি সুরক্ষা ও সুযোগ-সুবিধা পান।
Advertisement
এসএ/এমএস