গাজীপুর মহানগরীর শিববাড়ি এলাকা হতে অপহৃত পল্লী বিদ্যুতের এক কর্মকর্তাকে বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর নলজানী এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব-১ এর সদস্যরা। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী এক প্রতারক ও দুই নারীসহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
Advertisement
শুক্রবার র্যাব-১ এর গাজীপুরের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গোপান সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারেন যে মহানগরীর বাসন থানাধীন নলজানী পালের মাঠ এলাকায় কতিপয় অপহরণকারী ভিকটিমসহ মুক্তিপণের টাকা নেয়ার জন্য অবস্থান করছে। এ সংবাদের ভিত্তিতে নলজানী এলাকার ১৬৭নং নলজানী পালের মাঠ এলাকার ডক্টর আব্দুল আওয়ালের বাড়ির ২য় তলার একটি রুমে অভিযান চালিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকতা ভিকটিম মো. হারুন অর-রশিদকে (৩৯) অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
এ সময় অপহরণকারী মহানগরীর টান কড্ডা এলাকার সালাম সরদারের বাড়ির ভাড়াটিয়া আজহার রহমানের ছেলে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী মো. শাহিন আলম (৩০), নলজানী পালের মাঠ ডক্টর আব্দুল আওয়ালের বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. বেলালের ছেলে মো. সোহেল (২৫), একই বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. সোহেল মিয়ার স্ত্রী মোসা. সাহিদা বেগম (২৫), মো. সাইফুল ইসলামের মেয়ে মোসা. সাবিনা আক্তার বর্ষা (১৬) ও নগরীর টান কড্ডা এলাকার মৃত গুরুপদ দাসের বাড়ির রবি চন্দ্র দাসের ছেলে সঞ্জয় কুমার দাসকে (১৯) আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১টি ক্যামেরা, ৬টি মোবাইল ফোন সেট, ১০০ টাকা মূল্যের ৩টি লিখিত স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়।
ওই র্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশীদকে বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শহরের শিববাড়ি এলাকা থেকে ৭-৮ জনের অজ্ঞাত ব্যক্তিরা জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তার সন্ধান না পেয়ে পরিবারের লোকজন গাজীপুর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
Advertisement
এদিকে অপহরণকারীরা ভিকটিমকে মারধর করে হত্যার ভয় দেখিয়ে অস্ত্রের মুখে ৫ লাখ টাকার জন্য নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প পেপারে স্বাক্ষর নেয়। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে বারটার দিকে অপহরণকারীরা ভিকটিমের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার স্ত্রীর কাছে মুক্তিপণ হিসেবে ৫ লাখ টাকা দাবি করে অন্যথায় ভিকটিমকে হত্যা করবে বলে জানায়। এক পর্যায়ে বিকাশের মাধ্যমে ২৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় অপহরণকারীরা। বিষয়টি র্যাবকে জানালে র্যাব ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহৃতকে উদ্ধার এবং ৫ অপহরণকারীকে আটক করে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আমিনুল ইসলাম/এমএএস/পিআর