আন্তর্জাতিক

পেছাচ্ছে ব্রেক্সিট, আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব বরিসের

ব্রেক্সিট নিয়ে আপাতত অচলাবস্থার অবসান হচ্ছে না ব্রিটিশ রাজনীতির। অচলাবস্থা নিরসনে তাই কট্টর ব্রেক্সিটপন্থী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ১২ ডিসেম্বর আগাম নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে ব্রেক্সিট কার্যকরের সময় পেছানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন।

Advertisement

চলতি মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে নতুন একটি ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছিলেন বরিস জনসন। তবে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে চুক্তিটি পাস হয়নি। ফলে গত মাসে পাস হওয়া এক আইনে বাধ্য হয়ে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া পেছানোর জন্য অনুরোধ করে ইইউ-র কাছে চিঠি লিখেন তিনি।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধের প্রেক্ষিতেই স্থানীয় সময় শুক্রবার ব্রাসেলসে বৈঠক বসেছে ইইউ। এদিকে, নিজের সম্পাদিত চুক্তি পাস করাতে ব্যর্থ হওয়ার পর আগাম নির্বাচনের ডাক দিয়েছেন জনসন। সোমবার তার আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব নিয়ে পার্লামেন্টে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।

বিবিসি কে জনসন বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ৩১ অক্টোবরে ব্রেক্সিটের সময়সীমা বাড়াবে বলেই ধারণা করছেন তিনি। যদিও তিনি সময় বাড়ানোর পক্ষপাতি না। এমপিরা এ নির্বাচন মেনে নিলেই কেবল তাদেরকে ব্রেক্সিট নিয়ে বিতর্কের জন্য সময় দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

আগাম নির্বাচন নিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা জেরেমি করবিনকে এক চিঠি পাঠিয়েছেন জনসন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, পার্লামেন্টকে ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদনের জন্য তিনি আরও সময় দেবেন কিন্তু এমপদেরকে এর জন্য ডিসেম্বরের আগাম নির্বাচনকে সমর্থন দিতে হবে।

লেবার পার্টির বক্তব্য, তারা নির্বাচনে সমর্থন দেবে তখনই যখন জনসনের চুক্তিহীন ব্রেক্সিট করার ঝুঁকিটা আর থাকবে না। এর আগের ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে তার সম্পাদিত ব্রেক্সিট চুক্তি তিনবার পার্লামেন্টে পাস করাতে ব্যর্থ হলে যেভাবে হোক ব্রেক্সিট কার্যকরের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনসন প্রধানমন্ত্রী হন।

যুক্তরাজ্যে ২০১১ সালের ‘ফিক্সড-টার্ম পার্লামেন্ট অ্যাক্ট’ এর অধীনে নির্বাচন হওয়ার আগে দুই-তৃতীয়াংশ এমপি কে অবশ্যই নির্বাচনের পক্ষে ভোট দিতে হবে। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে চুক্তি পাসে ব্যর্থ প্রধানমন্ত্রী আগাম নির্বাচনের জন্য দুই-তৃতীয়াংশ এমপির সমর্থন পাবেন কিনা তাই এখন বিবেচ্য।

এসএ/এমকেএইচ

Advertisement