বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চন। নির্বাচন উপলক্ষে উচ্চ আদালত থেকে তার নামে সমন আসে আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর)। কিন্তু তাতে নামের আগে ‘মোহাম্মদ’ থাকায় সেটি গ্রহণ করেননি বরেণ্য এই অভিনেতা।
Advertisement
আগামীকাল ২৫ অক্টোবর শিল্পী সমিতির নির্বাচন। নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে শিল্পী সমিতি নিয়ে নানা রকম শোরগোল চলছে। অভিযোগ উঠেছে, নিয়মবহির্ভূতভাবে অনেকের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।
সেই প্রেক্ষিতে গত ১৫ অক্টোবর, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চন বরাবর নির্বাচন কেন স্থগিত করা হবে না এই মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।
অভিনেতা মো. সোহেল খান ও মোহাম্মদ হোসাইন লিটনের পক্ষে তাদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এই নোটিশ পাঠান। নোটিশ গ্রহণ করেননি বিবাদী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চন, শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান।
Advertisement
নোটিশ গ্রহণ না করায় আজ উচ্চ আদালত থেকে এই তিন বিবাদীর নামে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য সমন জারি করা হয়। সমন নিয়ে আসেন উচ্চ আদালতের পেশকার এস এম শফিউর রহমান।
আজ বিকেল ৩টায় তিনি শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে সমন নিয়ে আসেন। এখানে এসে তিনি মিশা সওদাগর ও জায়েদ খানকে পাননি বলে জানান। ইলিয়াস কাঞ্চনকে পেলেও সমনে তার নামের আগে ‘মোহাম্মদ’ থাকায় সেটি গ্রহণ করেননি তিনি।
সাংবাদিকদের সামনে পেশকারকে জবাব দিতে গিয়ে প্রধান এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমি একজন পরিচিত অভিনেতা। আমাকে রাষ্ট্র কয়েকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দিয়েছে। একবার একুশে পদকও দিয়েছে। আমার নাম সেখানে ইলিয়াস কাঞ্চন। এই মোহাম্মাদ ইলিয়াস কাঞ্চনকে আমি চিনি না। তাই এটি আমার পক্ষে গ্রহণ করা সম্ভব নয়।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদবি ও ঠিকানা ঠিক আছে। তাহলে গ্রহণ করতে কী অসুবিধা? পেশকারের এই প্রশ্নে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘আমি তর্কে যাবো না। এটা আইনের ব্যাপার। নাম ঠিক হয়ে এলে আমি এটা অবশ্যই গ্রহণ করবো।’
Advertisement
তবে আগামীকাল শিল্পী সমিতির নির্বাচন হবে বলে নিশ্চিত করেন এই অভিনেতা।
এলএ/এমএবি/এমকেএইচ