দেশজুড়ে

ভারতীয় গরু না আসায় স্বস্তিতে খামারিরা

ভারতীয় গরু আসা বন্ধ থাকায় আশায় বুক বেঁধেছেন মেহেরপুরের শত শত খামারি।  ঈদের বাজারে তাদের পালন করা গরুগুলো ভাল দামে বিক্রি করতে পারবেন এমন স্বপ্ন নিয়েই দিন কাটছে তাদের। এলাকার সচেতন ব্যক্তিদের অভিমত, ভারতীয় গরু না এলেও দেশে যে পরিমাণ গরু পালন করা হচ্ছে তা দিয়ে দেশের চাহিদা মেটানো সম্ভব। বর্তমানে দাম চড়া হলেও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে গরুর দাম কমার পাশাপাশি বিদেশেও রফতানি করা সম্ভব হবে। সীমান্ত গরু ব্যবসায়ীরা জানান, গত কয়েক মাস থেকে মেহেরপুরের সীমান্ত পথগুলো দিয়ে ভারতীয় গরু আসা বন্ধ রয়েছে। এতে খামারি এবং ব্যক্তি পর্যায়ে এক-দুইটি গরু পালনকারীদের মধ্যে গরু পালনে উৎসাহ দেখা দিয়েছে। গত বছরের কোরবানির বাজারকে সামনে রেখে মেহেরপুরে ১২ হাজার গরু পালন করা হলেও এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার। ভারতীয় গরু আসা বন্ধ থাকায় খামারিদের মধ্যে আশার সঞ্চার হলেও আশঙ্কাতেও আছেন অনেকে। প্রতি বছর এ সময়ে ভারতীয় গরু আসায় অনেকের স্বপ্ন ধুলিসাৎ হয়েছে। সীমান্ত গরু ব্যবসায়ী ও খামারিরা জানান, সীমান্তে গরু আনতে গিয়ে জীবন নাশের আশঙ্কায় থাকতে হতো তাদের। পরিবারের সদস্যরাও থাকতো অজানা শঙ্কায়। বিএসএফ এর গুলিতে মারাও গেছে কয়েকজন। বর্তমানে সীমান্ত দিয়ে গরু না আসায় তাদের ব্যবসা বন্ধ থাকলেও জীবন নাশের আতঙ্ক নেই তাদের মাঝে। গরু পালনকারীদের দাবি, বর্তমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে অনুপ্রেরণা পাবে গরু পালনকারী ও খামারিরা। ফলে আগামীতে গরু পালন আরো বাড়বে।খামারিরা আরো জানান ,কয়েক বছর ধরে পশুর হাটগুলো ভারতীয় গরুতে সয়লাব থাকায় অনেকের গরু অবিক্রিত থেকে যায়। ফলে লোকসান গুণতে হয় তাদের। এ বছর ভারতীয় গরু না আসায় আশার আলো দেখছেন তারা। দেশ ও খামারিদের স্বার্থে সরকারকে ভারতীয় গরু না আনার আহ্বান জানিয়েছেন খামারিরা।মেহেরপুর সুজনের উপদেষ্টা সিরাজুল ইসলাম জানান, সরকারের নীতি নির্ধারণী মহলে কিছু মানুষ ঘাপটি মেরে বসে আছে, যারা তাদের নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চাই। এদের হাত বন্ধ করতে পারলেই দেশের সীমান্ত দিয়ে গরু আসা বন্ধ হবে। দেশের স্বার্থ বিবেচনা করে গরু আনা বন্ধ করে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আগামী কয়েক বছর পর এদেশের গরু বিদেশেও রফতানি করা সম্ভব হবে।মেহেরপুর জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার শশাঙ্ক কুমার মন্ডল জাগো নিউজকে জানান ,গরুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খমারিরা গরু পালনে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। এ ধারাবাহিকতা চলতে থাকলে দেশে গরুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং আগামীতে মাংসের দামও কমে যাবে।এসএস/এমএস

Advertisement