যুগ্মসচিবের পর এবার প্রশাসনে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার। বুধবার সন্ধ্যার পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ১৫৬ জন যুগ্মসচিবকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে।
Advertisement
গত ১১ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রশাসনে এটাই প্রথমবারের মতো অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি। এর আগে গত ১৬ জুন ১৩৬ উপসচিবকে যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছিল সরকার।
অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে ১৫৬ কর্মকর্তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। তাদের পদায়ন করা হয়নি। এখন প্রশাসনে অতিরিক্ত সচিবের সংখ্যা হল ৬০৯। যদিও অতিরিক্ত সচিবের স্থায়ী পদের সংখ্যা ১২২টি।
দেড় শতাধিক কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়ার পরও অনেক কর্মকর্তা পদোন্নতিবঞ্চিত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সব ধরনের যোগ্যতা থাকার পরও তৃতীয়বারের মতো পদোন্নতিবঞ্চিত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবন ও ৩ নম্বর ভবনে বসেন এমন কয়েকজন যুগ্মসচিব।
Advertisement
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ (এপিডি) অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, পদোন্নতি সরকারের কাজের একটি রেগুলার প্রক্রিয়া। সেই ধারাবাহিকতায় পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে ১২৪ জন বিসিএস ১১ ব্যাচের, ৩২ জন এর আগের বিভিন্ন ব্যাচের যারা আগে পদোন্নতি পাননি।’
নিয়মিত পদ না থাকায় পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিবদের বেশির ভাগকেই পদোন্নতির আগে যেখানে ছিলেন ওই কর্মস্থলেই থাকবেন, অর্থাৎ ইনসিটু রাখা হবে।
‘সরকারের উপ-সচিব, যুগ্মসচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতি বিধিমালা, ২০০২’ বলা হয়েছে, অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৭০ শতাংশ প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ও ৩০ শতাংশ অন্য ক্যাডারের যুগ্মসচিব পদে কর্মরতদের বিবেচনায় নিতে হবে।
বিধিমালা অনুযায়ী, যুগ্মসচিব পদে কমপক্ষে তিন বছর চাকরিসহ ২০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা বা যুগ্মসচিব পদে কমপক্ষে দুই বছরের চাকরিসহ ২২ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হন।
Advertisement
সর্বশেষ গত বছরের ২৯ আগস্ট প্রশাসনে অতিরিক্ত সচিব পদে ১৫৪ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছিল।
পদোন্নতিপ্রাপ্তদের পুরো তালিকা দেখতে ক্লিক করুন
আরএমএম/এসএইচএস/এএইচ/এমএস