দেশজুড়ে

মাগুরায় গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ বাড়ছে

অসময়ে উচ্চ মূল্যের কারণে মাগুরায় গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষের প্রতি কৃষকের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। সদর উপজেলার বেশ কয়েকজন কৃষক এবার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে এই টমেটোর চাষ করে লাভবান হয়েছেন। এখানকার মাটি ও আবহাওয়া এই টমেটো চাষের উপযোগী বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর এসিডিপি প্রকল্পের মাধ্যমে ৩০ জন চাষিকে প্রশিক্ষণসহ চাষের বিভিন্ন উপকরণ দিয়েছে।কৃষকরা জানান, সেড পদ্ধতিতে এই টমেটো চাষ করে তারা প্রতি ছয় শতকে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা লাভ পাচ্ছেন। বাজারে এসময়ে টমেটো না থাকায় দাম পাওয়া যায় অনেক বেশি। এ কারণে তারা এই চাষ ক্রমশ বাড়াচ্ছেন। গত বছরের তুলনায় এবার দ্বিগুণ জমিতে তারা টমেটো চাষ করেছেন।নালিয়ার ডাঙ্গি গ্রামের কৃষক মফিজুল মন্ডল জাগো নিউজকে জানান, সরকারি সুযোগ সুবিধাসহ স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণ পাওয়া গেলে আগামীতে বারি-৪ জাতের গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ আরো বাড়বে।এই টমেটোর আকার-আকৃতি, স্বাদ ও রং দেশি টমেটোর চেয়ে ভালো বলে এর চাহিদাও অনেক। বর্তমানে এখানকার টমেটো স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে পার্শ্ববর্তী জেলা যশোর, ঝিনাইদহ, ফরিদপুরসহ ঢাকায় ও রফতানি হচ্ছে।মাগুরা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুব্রত কুমার চক্রবর্তী জাগো নিউজকে বলেন, টমেটো যেহেতু শীতকালীন সবজি এ কারণে গ্রীষ্মকালীন সময়ে বাজারে টমেটো না থাকায় বেশ ভালো দাম পান কৃষকরা। এছাড়া এ বছর বৃষ্টি ও ঈদ উপলক্ষ্যে প্রতি কেজি টমেটো ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে জেলার প্রতিটি পাইকারি হাট-বাজারে।মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক পার্থ প্রতিম সাহা জাগো নিউজকে বলেন, এখানকার মাটি ও আবহাওয়া এই টমেটো চাষের উপযোগী হওয়ায় বেশ ভালো ফলন হচ্ছে প্রতিবছর। সাধারণত মে-জুন মাসে বারি-৪ জাতের গ্রীষ্মকালীন এই টমেটোর চাষ করতে হয়। যা আগস্ট-সেপ্টেম্বরের ঘরে তোলার উপযোগী হয়ে ওঠে।মো. আরাফাত হোসেন/এমজেড/এমএস

Advertisement