কালীপূজায় শব্দ দূষণ রোধে এক অভিনব সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতার দমদম থানা পুলিশ। এলাকার ভবনের ছাদে জরুরি মেরামত বা অন্য কোনো কাজ থাকলে তা পূজার আগেই শেষ করতে বলা হয়েছে। কারণ, কালীপূজার আগের দিন থেকে পূজার দু’দিন পর পর্যন্ত ভবনের ছাদের চাবি জমা রাখতে হবে থানায়।
Advertisement
গত কয়েক বছর ধরেই প্রচার-প্রচারণা চালিয়েও আবাসনে পটকা ফোটানো বন্ধ রাখতে পারেনি প্রশাসন। তাই এবার দমদম থানা পুলিশ এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এলাকার আবাসন কমিটিগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। এছাড়া সমস্ত আবাসনের নিচে পুলিশ পাহারার ব্যবস্থাও থাকছে।
এর আগে পূজায় শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে এমন পদক্ষেপ নিয়েছিল বিধাননগর। কালীপূজায় আবাসনগুলো ছাদে তালা মেরে রেখেছিল পুলিশ। ওই পদক্ষেপে শব্দ দূষণ পুরোপুরি আটকানো না গেলেও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল।
তবে এবার দমদম থানার পুলিশ জানিয়েছে, এরপরও যদি আবাসনগুলোর ভেতরে বা ছাদে কেউ পটকা ফোটানোর চেষ্টা করে তাহলে পুলিশ কী পদক্ষেপ নেবে, তা আবাসন পরিচালন কমিটিকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
Advertisement
গত কয়েক বছর ধরে কলকাতার রাস্তাঘাটে পটকা ফোটানো রুখতে পুলিশের টহল দিচ্ছে। ভারতের সংবাদ মাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছে, যদিও চোরাগোপ্তা বাজি বা পটকা পটকা ফোটানো বন্ধ করা যায়নি। বিশেষ করে বড় আবাসনগুলোর ভেতরেই পটকা ফোটানো হয়।
ভারতের সংবাদ মাধ্যমগুলোতে জানানো হয়, সোমবার দমদম থানা এলাকার আবাসনগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে পুলিশ। সেখানে আবাসনের পরিচালন কমিটিগুলোকে জানিয়ে দেয়া হয়, পটকা ফোটানোর জন্য আবাসনের ছাদ যাতে ব্যবহার করা না হয়, তা নিশ্চিত করতে পুলিশ ছাদের গেইট তালাবন্ধ রাখবে। কালীপূজার আগের দিন থেকে ছাদের চাবি জমা থাকবে থানায়। পূজার পরের দু’দিনও সেই নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
এক পুলিশ কর্মকর্তা জাানিয়েছেন, দমদম থানা এলাকায় ৪০টির মতো বড় আবাসন রয়েছে। ফ্ল্যাটের সংখ্যা ৫০০ বা তার বেশি। মাঝারি আবাসন রয়েছে শতাধিক। এসব আবাসনে নজরদারি করবে পুলিশ। এছাড়া প্রতিটি আবাসনের নোটিস বোর্ডে নিয়মাবলী সাঁটিয়ে দেয়া হয়েছে। এরপরও কেউ নিয়ম ভাঙলে তাকে গ্রেফতার করা হবে।
আরএস/জেআইএম
Advertisement