সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়েছিল পুনেতে দ্বিতীয় ম্যাচের পরই। রাঁচিতে তৃতীয় ম্যাচের তৃতীয় দিনেই বোঝা গিয়েছিল শুধু সিরিজ জিতেই ক্ষান্ত হচ্ছেন না বিরাট কোহলিরা। সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকাকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডোবানোর সকল বন্দোবস্তই করে রেখেছেন তারা।
Advertisement
বাকি ছিলো শুধু আনুষ্ঠানিকতা। চতুর্থ দিন সকালে সেটি সারতে মাত্র ১০ মিনিট সময় নিলেন অভিষিক্ত স্পিনার শাহবাজ নাদিম। মোহাম্মদ শামীর করা প্রথম ওভার সামলে নিলেও, নাদিমের করা দ্বিতীয় ওভারের শেষ দুই বলে দুই উইকেট হারিয়ে অলআউট হয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ম্যাচ বাঁচানোর স্বপ্ন তৃতীয় দিনই শেষ হয়ে গেছিল প্রোটিয়াদের। ভারতের চেয়ে ইনিংস ও ২০৩ রানে পিছিয়ে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার হাতে ছিলো মাত্র ২টি উইকেট। ফলে চতুর্থ দিন অপেক্ষা ছিলো, নিজেদের পরাজয়টা ঠিক কতটা প্রলম্বিত করতে পারেন শেষের দুই ব্যাটসম্যান।
দিনের শুরুর ওভারে মোহাম্মদ শামীকে ভালোভাবে সামলে ভারতের জয়ের অপেক্ষা বাড়ানোর ইঙ্গিতই দিচ্ছিলেন থিউনিস ডি ব্রুইন এবং এনরিচ নর্ৎজে। কিন্তু অভিষিক্ত নাদিমের পরের ওভারের শেষ দুই বলে প্রথমে ডি ব্রুইন এবং পরে লুঙ্গি এনগিডি আউট হয়ে গেলে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস থামে ১৩৩ রানে। ভারত পায় ইনিংস ও ২০২ রানের বিশাল ব্যবধানের জয়।
Advertisement
ম্যাচে আগে ব্যাট করে রোহিত শর্মার ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিতে ভর করে ৮ উইকেট হারিয়ে ৪৯৭ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা নিজেদের প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়ে যায় মাত্র ১৬২ রানে। ৩৩৫ রানের বিশাল লিড পাওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে ফলোঅন করায় ভারত।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেও কোনো সুবিধা করতে পারেননি প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা। ভারতীয় বোলারদের তোপের মুখে এবার তারা অলআউট হয় ১৩৩ রানে। দুই ইনিংস মিলে ভারতের পক্ষে মোহাম্মদ শামী ও উমেশ যাদব নেন ৫টি করে এবং অভিষিক্ত নাদিম পান ৪টি উইকেট।
এ জয়ের ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হোয়াইটওয়াশ করার স্বাদ পেলো ভারত। নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে এবারই প্রথম ভারতের কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো দক্ষিণ আফ্রিকা।
এসএএস/এমকেএইচ
Advertisement