রাজনীতি

ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ স্থগিত তবুও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটে তালা!

অনুমতি না পাওয়ায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা তাদের পূর্বঘোষিত গণ শোক সমাবেশ অনুষ্ঠানটি স্থগিত করলেও রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আজ মঙ্গলবার এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল।

Advertisement

আজ সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা যায়, বিভিন্ন প্রবেশদ্বারসহ উদ্যান জুড়ে টহল দিচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। কাউকে উদ্যানের ভেতরে অবস্থান করতে দিচ্ছেন না তারা। কাকডাকা ভোরে প্রাতঃভ্রমণকারীদের যারা গেটের প্রাচীর টপকে ভেতরে প্রবেশ করে হাঁটাহাঁটি করছিলেন তাদেরকেও উদ্যান থেকে বের করে দেয়া হয়। উদ্যানের গেটটি আজ বন্ধ থাকবে এমন তথ্য জানা না থাকায় বিপুলসংখ্যক প্রাতঃভ্রমণকারীরা ফিরে যেতে বাধ্য হন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কর্তব্যরত একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে এমন তথ্য তাদের জানা নেই। গণশোক সমাবেশের নামে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারেন এমন আশঙ্কায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আজ উদ্যানে প্রবেশের ক্ষেত্রে অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন বলে ওই কর্মকর্তারা জানান।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার হত্যার প্রতিবাদে সম্প্রতি এ গণশোক সমাবেশ আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছিল জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাছে সমাবেশে করার অনুমতি চেয়ে আবেদনও করে দলটি। তবে সমাবেশের অনুমতি মেলেনি।

Advertisement

গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে তার বেইলি রোড বাসভবনে ফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির এক জরুরি সভা হয়। সভায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণসমাবেশের অনুমতি না পাওয়ায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয় এবং গণশোক সমাবেশ স্থগিত করা হয়।

ঐক্যফ্রন্টের দফতর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু জানান, ২২ অক্টোবর (আজ মঙ্গলবার) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সরকার সমাবেশের অনুমতি না দেয়ায় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা মনে করেন, ভোট ডাকাত, গণবিচ্ছিন্ন সরকার খুবই লজ্জাজনক কাজ করেছে।

তিনি বলেন, সরকার মত প্রকাশের অধিকার খর্ব করেছে। সরকার অনুমতি না দেয়ার কারণে গণশোক সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে। তবে আগামীতে আমাদের আন্দোলন প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে। সব স্বৈরশাসকরা এমন অগণতান্ত্রিক আচরণ করে গণরোষানলে বিতাড়িত হয়েছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির নেতারা দ্রুত আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবে বলে জানান জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই নেতা।

গতকালের সভায় অন্যদের মধ্যে জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিকল্পধারার আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন বেপারী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, মোশতাক আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

এমইউ/এসআর/এমকেএইচ