আজ ৯ জিলহজ বুধবার, ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের পবিত্র হজের দিন। মিনা থেকে আরাফাতের ময়দানে সমবেত হবেন লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি। তাদের কণ্ঠে ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠবে আজ আরাফাত ময়দান। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করবেন। আরাফাতের ময়দানে খুতবা শুনবেন তারা। যা হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে পরিচিত। আরাফাতের মসজিদে নামিরাহ থেকে হজের খুতবা পড়বেন সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি আবদুল আজিজ আল শাইখ।খুতবা শোনার পাশাপাশি দিনভর ইবাদত বন্দেগির পর রাতে মিনার পথে মুজদালিফায় অবস্থান নেবেন মুসল্লিরা। মুজদালিফায় পাথর সংগ্রহ করে বৃহস্পতিবার সকালে মিনায় ফিরে প্রতীকী শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়বেন তারা। তারপর পশু কোরবানি দিয়ে মাথার চুল মুণ্ডন করে সেলাইবিহীন কাপড় পড়বেন। অতঃপর মক্কায় গিয়ে পবিত্র কাবা শরীফ ৭ বার প্রদক্ষিণ, জমজম কূপের পানি পান এবং সাফা-মারওয়া পাহাড় ৭ বার প্রদক্ষিণ করে মাথা মুড়িয়ে হজের অত্যাবশ্যকীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন।চলতি বছর বিভিন্ন দেশের আট লাখের বেশি ভাগ্যবান মুসলমান হজে যোগ দিচ্ছেন। ১৪১৪ বছর আগের এ দিনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) আরাফাতের পূণ্যভূমিতে বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। হিজরি ২৩ সালের ১০ জিলহজ তারিখে দেয়া ওই ভাষণই ছিল মহানবী (সা.) এর জীবনের একমাত্র হজের সমাপনী। আরাফাতের ভাষণে মহানবী (সা.) তার মহীয়ান জীবন ও সাধনার ইতি ঘোষণার ঐশী নির্দেশনা পেয়েছিলেন, যাতে বলা হয়েছে, ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের ধর্মকে পূর্ণতা দিলাম।’ পবিত্র কোরআনের সুরা হজের এ স্তবকে বিবৃত ইসলামের পূর্ণতার কথা স্মরণ করেই ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা হজের জন্য মক্কায় সমবেত হন এবং সৃষ্টিকর্তার কাছে আত্মসমর্পণের ঘোষণা দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।আরএস/এমএস
Advertisement