জাতীয়

দামে হতাশ গাবতলী হাটের ক্রেতারা

দাম অতিরিক্ত হাঁকানোর ফলে গাবতলী পশুর হাটে হতাশ সাধারণ ক্রেতারা। মঙ্গলবার ক্রেতাসমাগম বাড়লেও জমে ওঠেনি গরু বেঁচা-কেনা। গতবারের তুলনায় গরুর দাম অস্বাভাবিক হওয়ায় যাছাই-বাছাই করেই ফিরে যাচ্ছেন অধিকাংশ ক্রেতা। এদিকে বৃষ্টি-বিড়ম্বনায় বিপাকে পড়ার আশঙ্কা করছেন দেশের সর্ববৃহৎ পশুর হাট গাবতলীর গরু ব্যবসায়ীরা। কোরবানি উপলক্ষে হাট বসার তিন দিন অতিবাহিত হলেও গরু বেঁচা-কেনায় সাড়া না পাওয়ায় ব্যবসায়ীদের অনেকেই যেন চোখে সরষে ফুল দেখছেন।ঢাকা সিটি কর্পোরেশন থেকে নির্ধারিত রাজধানীর ২৩টি স্থানে এবার গরুর হাট বসেছে। এর মধ্যে গাবতলী সর্ববৃহৎ হাট বলে বিবেচিত। এটি রাজধানীর স্থায়ী হাটও বটে। আনুষ্ঠানিকভাবে গত রোববার থেকে হাট বসলেও ব্যবসায়ী ও খামারিরা গরু নিয়ে অবস্থান করেন বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই। এই হাটে এবার দেশীয় গরুর আধিপত্য লক্ষ্য করার মতো।কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, পাবনা, সিরাজগঞ্জসহ উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোর গরুতে ভরে গেছে গাবতলীর হাট। তবে দিনকে দিন বিদেশি তথা ভারতীয়, নেপাল, ভুটানের গরুও জায়গা করে নিচ্ছে এ হাটে। এখনো ট্রাকে ট্রাকে দেশি-বিদেশি গরু আসছে গাবতলীতে।গাবতলী হাটে গরুর কমতি না থাকলেও দাম নিয়ে বিব্রত ক্রেতা সাধারণ। এবার লাখ টাকার নীচে গরু নেই বললেই চলে। থাকলেও সে গরু ক্রেতাদের পছন্দসই নয়। বিক্রি হোক বা না হোক লাখ টাকার উপরে দাম হাঁকিয়ে বসে আছেন ব্যবসায়ীরা।রাজধানীর মিরপুর থেকে গরু কিনতে এসেছেন হারেজ আলী। তিনি বলছিলেন, আমি প্রতিবছর দুটি করে গরু কোরবানি দিই। গতবার যে টাকায় দুটি গরু কিনেছিলাম, এবার সেই টাকায় একটি পাওয়া যাচ্ছে। সোমবারও এসেছিলাম। গরু কেনার সাহস পাচ্ছি না। আরো দুদিন দেখবো। কারণ, ব্যবসায়ীরা প্রতিবছর শুরুতে বাড়িয়েই দাম হাঁকায়। শেষের দিকে অর্ধেকেও নেমে আসার রেকর্ড আছে।আরেক ক্রেতা আইয়ুব আলী বলেন, দেশীয় গরুর প্রাধান্য থাকায় ভালো লাগছে। এবার গরুর সংখ্যাও অনেক বেশি বলে মনে হচ্ছে। তবে দাম একটু চড়া বলেই বিক্রি কম হচ্ছে। ঘুরে দেখছি। এক লাখ ২০ হাজারের মধ্যে পছন্দ হলে আজই কিনে ফেলবো।কুষ্টিয়ার মিরপুর থেকে ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক এবার ১৩টি গরু এনেছেন গাবতলীর হাটে। লাখ টাকার ওপরে আজ দুটি গরু বিক্রি করেছেন তিনি। মালেক বলেন, সারা বছরই গরুর দাম বেশি ছিল। কোরবানি উপলক্ষে দাম একটু বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক।তিনি আরো বলেন, গত দুই দিনের তুলনায় মঙ্গলবার ক্রেতার উপস্থিতি একটু বেশি। কম-বেশি বিক্রিও হচ্ছে। ভয়ে আছি বৃষ্টি নিয়ে। হাট বসার পর থেকেই বৃষ্টি। হাটের মধ্যে এক হাটু কাদা। কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাব আছে। ঈদের আগ পর্যন্ত এভাবে বৃষ্টি হলে অনেকের মাথায় হাত পড়বে।গাবতলী পশুর হাট কর্মকর্তা সানোয়ার হোসেন বলেন, হাটের পরিবেশ ঠিক রাখতে কর্তৃপক্ষের কোনো গাফলাতি নেই। মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় পরিকল্পনা কিছুটা বিঘ্নিত হয়েছে বটে। তবে বালু ফেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছে।এএসএস/একে/বিএ

Advertisement