দেশজুড়ে

হবিগঞ্জে জমছে না পশুর হাট

হবিগঞ্জে শেষ মুহূর্তে এসেও জমে ওঠেনি পশুর হাট। মঙ্গলবার জেলার সবচেয়ে বড় পশুর হাট পৌর গরুর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, আমদানি থাকলেও কেনাবেচা একেবারেই কম হচ্ছে। কিছু কিছু ক্রেতা বাজারে গেলেও তা লক্ষণীয় নয়। তবে দাম ছাড়ছেন না বিক্রেতারা। অন্য বছরের তুলনায় দামও এবছর একটু বেশি চাওয়া হচ্ছে। আর ক্রেতারা নিচ্ছেন না শেষ দিকে দাম কমতে পারে এ আশায়। অনেকেই আবার জেলার অন্যান্য বাজার থেকে গরু ক্রয় করে নিয়েছেন। কিন্তু সেখানে গিয়েছেন দেখতে আর দাম যাচাই করতে।পৌর পশুর হাটের ইজারাদার মিয়া মোহাম্মদ ইলিয়াছ জাগো নিউজকে জানান, এ বছর হাটে সবচেয়ে বেশি দামের গরুটি এনেছেন শহরতলীর জালালাবাদ গ্রামের মিজানুর রহমান। এ ষাঁড়ের দাম চাওয়া হচ্ছে তিন লাখ টাকা। অন্যান্য বছর এসময় কেনা-বেচা পুরোদমে জমজমাট থাকতো। কিন্তু এ বছর এখনো ক্রেতা তেমন বাজারে আসছেন না। অথচ গরুর সরবরাহ রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ। যা আগের বছরের তুলনায় কোনো অংশেই কম নয়। তবে আশা করা যায় কেনাবেচা শীঘ্রই জমে উঠবে।বিক্রেতা মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, তার গরুটি হাটের সবচেয়ে বড় গরু। তার খামার রয়েছে। খামারে প্রতি বছরই গরু পালন করে তা ঈদের সময় বিক্রি করেন। এখানে এ বছর ভারতীয় পশুর আমদানি তেমন হয়নি। ফলে দেশীয় গরুর দাম একটু বেশি চাওয়া হচ্ছে। অন্যান্য বছর এ সময়টাতে হাট পুরো জমজমাট থাকতো। কিন্তু শেষ মুহূর্তে কেনাবেচা বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।আরেক ক্রেতা মো. মুজিবুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, এ বছর গরুর দাম একটু বেশি চাওয়া হচ্ছে। শেষ দিকে দাম কিছু নামতে পারে। অন্য বছর যে গরু ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি হতো, এবছর তা ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে। ঈদের আগের দিন সে দাম থাকবে না। তাই তখনই গরু ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে তিনি জানান।তবে ক্রেতাদের আশা শেষ দিকে হয়তো ভারতীয় গরুর আমদানি হবে। আর তখন দামও নেমে যাবে বলে তারা মনে করেন। অপরদিকে বিক্রেতারা বলছেন, দেশীয় গরুর দাম একটু বেশিই হয়। তাই তারা এখনই দাম ছাড়তে রাজি নন।সৈয়দ এখলাছুর রহমান/এমজেড/বিএ

Advertisement