লক্ষ্মীপুরে গাছের সঙ্গে বেঁধে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধারালো ব্লেড দিয়ে কেটে শরীরের বিভিন্ন অংশ ক্ষত-বিক্ষত করার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার সাক্ষী হওয়ায় আরেক ছাত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রীর নাম পপি আক্তার। তার মুখে ওড়না পেচিয়ে মারধর করেছে সন্ত্রাসীরা। এসময় তার দুই হাতে ব্লেড দিয়ে কয়েকটি আচঁড় দেয়া হয়।সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের তিলিকের বাড়ির সুপারি বাগানে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন তসলিম হোসেন নামের এক সন্ত্রাসীকে আটক করে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।ঘটনার পর আহত পপিকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পপি সোনাপুর গ্রামের তিলিকের বাড়ির মো. হারুনের মেয়ে। সে হাসনাবাদ মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, দীর্ঘদিন ধরে সোনাপুর গ্রামের নুরুল আলম হোসেন কামালের সঙ্গে একই গ্রামের শাহ আলম বাবুলদের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে গত ২৭ অক্টোবর কামালের মেয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী কামরুন নাহার সুমি মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে শাহ আলমের ছেলে কিরন, ভুলু সহযোগীদের নিয়ে তার (সুমি) পথরোধ করে। এরপর তাকে সুপারি বাগানে নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ধারালো ব্লেড দিয়ে কেটে ক্ষত-বিক্ষত করা হয়। এ ঘটনায় তখন থানায় মামলা করা হয়।ওই মামলায় সুমির সহপাঠি পপি আক্তারকেও সাক্ষি করা হয়। সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে তখন মাদ্রাসার সামনে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে।লক্ষ্মীপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুর রব জাগো নিউজকে জানান, ছাত্রী সুমি নির্যাতনের মামলার প্রধান সাক্ষী ছিল পপি। এর জের ধরে সন্ত্রাসীরা তাকেও শারীরিক নির্যাতন করেছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে দোষিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।কাজল কায়েস/এমজেড/বিএ
Advertisement