বেসিক ব্যাংক জালিয়াতির ঘটনায় আরো ২৩টি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কাজী ফখরুল ইসলাম ও ডিএমডি ফজলুস সোবহান বেশির ভাগ মামলাতেই আসামি হয়েছেন। তবে এই ২৩ মামলাতেও নেই ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুর নাম।মঙ্গলবার রাতে মতিঝিল থানায় চারটি, পল্টন থানায় আটটি এবং গুলশান থানায় ১১টি মামলা করেন দুদকের অনুসন্ধান দলের সদস্যরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।এসব মামলায় প্রায় ৭৮১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। ২৩ মামলায় আসামির সংখ্যা ১৮৫ জন হলেও অনেকেই একাধিক মামলার আসামি হওয়ায় সেখানে ব্যক্তির সংখ্যা ৬৯ জন।আসামির তালিকায় থাকা ৬৯ জনের মধ্যে বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা রয়েছেন ২২ জন। ঋণগ্রহীতা ২৪টি প্রতিষ্ঠানের ৩৬ জন এবং সার্ভে প্রতিষ্ঠানের ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে। বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মধ্যে সাতজন নতুন করে আসামি হয়েছেন। বাকি ১৫ জন সোমবার করা ১৮ মামলাও আসামি ছিলেন। ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের মধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধেও সোমবার মামলা হয়।বেসিক ব্যাংক জালিয়াতির ঘটনায় সোমবার মামলা হয় ১৮টি। ওইসব মামলায় প্রায় ৬৫৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। ব্যাংকের ১৯ জন কর্মকর্তা ও ঋণ গ্রহীতা ২০টি প্রতিষ্ঠানের ৩১ জন এবং চারটি সার্ভে প্রতিষ্ঠানের ছয়জন আসামি হয়েছেন মামলায়।বেসিক ব্যাংকে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা জালিয়াতির ঘটনায় দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে ৫৬ মামলার অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। কমিশনের অনুসন্ধানে দুই হাজার নয় কোটি টাকার জালিয়াতির তথ্য পাওয়া গেছে। দুইদিনে ৪১টি মামলায় এক হাজার ৪শ ৩৫ কোটি টাকার জালিয়াতির অভিযোগ করা হয়।## বেসিক ব্যাংক অনিয়মে অবশেষে মামলা করলো দুদকএসএ/বিএ
Advertisement