দেশজুড়ে

গর্ভের সন্তান নষ্ট করায় স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা

পিরোজপুরের নাজিরপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের পর গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করার অভিযোগে স্বামীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার নির্যাতিত ওই নারী বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করে। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন, নাছিরের (স্বামী) ভাই মোতাহার হোসেন, মহিউদ্দিন, মহিবুল­াহ এবং বোন রুহুন্নেছা খাদিজা।মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দেউলবাড়ী ইউনিয়নের ডুমরিয়া গ্রামের মৃত. আনোয়ার চৌকিদারের ছেলে আবু সাঈদ নাছিরের সঙ্গে ৩ বছর আগে একই ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের ইমাম হোসেনের মেয়ে খাদিজা খানমের বিয়ে হয়। তিনি ঢাকার একটি মাদ্রাসার শিক্ষিকা। বিয়ের ৩/৪ মাস পর থেকে নাছির চাকরির কথা বলে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। এসময় খাদিজা তার জমানো টাকা থেকে ৩ লাখ টাকা স্বামী নাছিরের চাকরির জন্য দেয়। আরো ২ লাখ টাকার জন্য শারীরিকভাবে নির্যাতন করলে খাদিজা গত ২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর ঢাকার শাহবাগ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করে। মামলায় নাছিরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করার পর খাদিজাকে আর নির্যাতন করবেনা মর্মে খাদিজাকে মামলাটি প্রত্যাহার করায়।    পুনরায় নাছির খাদিজাকে নিয়ে ঘর সংসার শুরু করলে এক পর্যায়ে খাদিজা গর্ভবর্তী হয়ে পড়ে। এরপর গ্রামের এক মাদ্রাসায় কম্পিউটার শিক্ষক পদে তার চাকরির জন্য ৪ লাখ টাকা লাগবে বলে নাছির পুনরায় যৌতুক দাবি করে। টাকা না পেয়ে নাছির গ্রামে এসে অন্য মেয়েকে ৪ লাখ টাকা যৌতুক নিয়ে বিয়ে করার পায়তারা করছে এমন সংবাদে খাদিজা এ বছরের ৮ মে নাছিরের বাড়িতে উপস্থিত হলে নাছিরসহ তার ভাই মোতাহার হোসেন, মহিউদ্দিন ও মহিবুল­াহ এবং বোন রুহুন্নেছা খাদিজাকে মারপিট করে গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করার জন্য জোর করে ওষুধ খাওয়ায়। এতে তার গর্ভের বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায়। তখন নাছিরের আত্মীয়-স্বজন বিষয়টি মিমাংসা করার আশ্বাস দিলে খাদিজা তার কর্মস্থলে চলে যায়। কিন্তু দীর্ঘদিনেও আত্মীয়-স্বজন খাদিজার বিষয়টির মিমাংসা না করে নাছিরকে অন্যত্র বিয়ে করায় এমন খবর পেয়ে খাদিজা গত ১৯ সেপ্টেম্বর নাছিরের বাড়িতে যায়। তখন আসামিরা খাদিজাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। ঘটনার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত নাছিরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে নাজিরপুর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাছির উদ্দিন মলি­ক বলেন, খাদিজা খানমের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত চলছে।হাসান মামুন/এমএএস

Advertisement