জাতীয় পার্টির (জাপা) ঢাকা বিভাগীয় কমিটির আহ্বায়ক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেছেন, আমার রাজনৈতিক পিতা পল্লীবন্ধু এরশাদ আমাদের মাঝে না থাকলেও তার রাজনৈতিক দর্শন ও ৯ বছরের উন্নয়নের মহাযজ্ঞ রয়েছে। একই সঙ্গে উন্নয়ন অগ্রগতি, সমৃদ্ধির প্রতীক লাঙ্গল রয়েছে। যে লাঙ্গলের ফলায় কৃষক ফসল ফলায়। আগামী দিনের রাজনীতিতে পল্লীবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন আর লাঙ্গল হবে মহা ফ্যাক্টর।
Advertisement
শনিবার সকালে বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৃহত্তর ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাবলা বলেন, পল্লীবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন আর লাঙ্গলকে দেশের সকল মানুষের ঘরের দুয়ারে নিয়ে যেতে হবে। এ জন্য জাতীয় পার্টির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের ফেরিওয়ালার ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা যদি প্রত্যেকে ফেরিওয়ালা হয়ে এরশাদের দর্শন, ৯ বছরের উন্নয়নের মহাযজ্ঞ ও লাঙ্গল, যে উন্নয়ন সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির প্রতীক তা মানুষের মাঝে তুলে ধরতে পারি তাহলে জাতীয় পার্টি’ই আগামী দিনে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাবে।
তিনি বলেন, পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধ আছে। অতীতে কোনো সময় এভাবে টিমওয়ার্ক করে জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কাজ পরিচালিত হয়নি। কিন্তু জি এম কাদেরের নেতৃত্বে এবার তা হচ্ছে। তাই আগামী জাতীয় সম্মেলন হবে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে দৃষ্টিনন্দন, ঐতিহাসিক ও মর্যাদাপূর্ণ সম্মেলন। কোনো চক্রান্ত বা ষড়যন্ত্র করে জাতীয় পার্টির অগ্রযাত্রা রুখতে পারবে না।
Advertisement
জাপার এ নেতা আরও বলেন, আমরা সংসদে ভেতরে ও বাইরে সরকারের গঠনমূলক সমালোচনায় সরব থাকব। সরকারে সব শুভ কাজে আমাদের যেমন পূর্ণ সমর্থন থাকবে, তেমনি জনস্বার্থবিরোধী কোনো কাজ করলে তার প্রতিবাদও করব। আমরা লোক দেখানো প্রতিবাদে বিশ্বাসী নই, আবেগ দিয়ে রাজনীতি করা যায় না, বাস্তবতা ও বিবেক দিয়ে রাজনীতি করতে হবে।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সালাম ইসলাম এমপি, এস এম ফয়সল চিশতী, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, আলমগীর শিকদার লোটন, ভাইস চেয়ারম্যান আরিফ খান, জহিরুল আলম রুবেল ও যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু বক্তব্য রাখেন।
এমইউএইচ/আরএস/এমএস
Advertisement