ভারতের অযোধ্যায় অবস্থিত বিতর্কিত বাবরি মসজিদ মামলার জট কেটেও কাটছে না। দেশটির সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের এক বেঞ্চে টানা ৪০ দিন ধরে মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। আদালত আর কোনো পক্ষকেই সময় দেবে না বলে জানিয়েছে। এবার রায় ঘোষণার পালা।
Advertisement
গত বুধবার নানা নাটকীয়তা শেষে মামলার শুনানি শেষ হয়। এদিকে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বাবরি মসজিদ মামলার অন্যতম পক্ষ বিতর্কিত ওই জমির দাবি ছেড়ে দিতে প্রস্তুত সুন্নি ওয়াক্ফ বোর্ড। আদালতে জমা দেয়া মধ্যস্থতা কমিটির কাছে এমনটাই জানিয়েছে তারা।
সূত্র বলছে, অযোধ্যার বিতর্কিত ওই জমিতে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য সরকার যদি জমিটি অধিগ্রহণ করতে চায়, তাহলে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড আপত্তি করবে না। তবে তার বদলে তারা সরকারের কাছে অযোধ্যার মসজিদগুলোর সংস্কার এবং উপযুক্ত স্থানে নতুন একটি মসজিদ নির্মাণের প্রস্তাব দিতে পারে।
তবে এনডিটিভির প্রতিবেদনে ওয়াক্ফ বোর্ড জমির দাবি ছেড়ে দিচ্ছে জানালেও অযোধ্যাকে রামের জন্মভূমি দাবি করা মামলার বাকি দুই পক্ষ নির্মোহী আখড়া ও রাম লালার মধ্যে ভূমি বিরোধের মীমাংসা কীভাবে হবে, সুপ্রিম কোর্টের ওই মধ্যস্থতাকারী কমিটি এ প্রসঙ্গে কিছু বলেছে কিনা তা জানা যায়নি।
Advertisement
উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা বাবরি মসজিদ ধূলিসাৎ করে। তাদের দাবি, হিন্দুদের ভগবান রামচন্দ্রর জন্মস্থানে থাকা মন্দির ভেঙে সেই কাঠামোর ওপর ১৫২৮ সালে মুঘল সম্রাট বাবরের সৈন্যরা বাবরি মসজিদ গড়ে তুলেছিল।
কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা ষোড়শ শতকে নির্মিত ওই মসজিদটি ভেঙে ফেললে ভারতজুড়ে ভয়াবহ দাঙ্গা দেখা দিয়েছিল। অযোধ্যার ২ দশমিক ৭৭ একর জমির মালিকানা সুন্নি ওয়াক্ফ বোর্ড, নির্মোহী আখড়া না ভগবান রামচন্দ্রর (রাম লালা) হবে তারপর থেকে সেই নিয়ে শুরু হয় বিবাদ।
উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদ হাইকোর্ট ২০১০ সালে বিতর্কিত ওই জমি বিবদমান তিন পক্ষকে সমানভাবে ভাগ করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু হাইকোর্টের সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ হয় সুপ্রিম কোর্টে। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ টানা শুনানির নির্দেশ দিয়ে বলেছিলেন, অবসরের আগেই (১৭ নভেম্বর) তিনি এই বিবাদের মীমাংসা করবেন।
এসএ/পিআর
Advertisement