সৌদি আরব এবং ইরানের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে চলমান উত্তেজনা নিরসনে মধ্যস্ততাকারী হিসেবে এগিয়ে এসেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। দু'দেশের মধ্যে বৈরি সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে তিনি দু'দেশেই সফর করেছেন।
Advertisement
অপরদিকে, ভারত সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মাধ্যমে কাশ্মীর থেকে বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়ার পর থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ঠিক এমন সময়েই ভারত-সৌদি সহযোগিতা পরিষদের বৈঠকে যোগ দিতে সৌদি সফরে যাবেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চলতি মাসেই তিনি সৌদি সফর করবেন।
সাম্প্রতিক সময়ে নরেন্দ্র মোদির রিয়াদ সফরকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন কূটনীতিকরা। মোদি তার আসন্ন রিয়াদ সফরে বাণিজ্যিক এবং কৌশলগত ভাবে রিয়াদকে আরও কাছে টানার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ভারতের তেল, কৃষি, খনিজ, পরিকাঠামোসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিপুল বিনিয়োগ করতে চলেছে সৌদি আরব। পাশাপাশি মৌলবাদ এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তথ্য সমন্বয় বাড়ানো নিয়েও আলোচনা ও চুক্তিপত্র সই হওয়ার কথা রয়েছে দু’দেশের। কয়েক সপ্তাহ আগে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল রিয়াদে গিয়ে পুরো নকশাটি তৈরি করে এসেছেন।
Advertisement
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রের দাবি, সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে মোদির রসায়ন অনেকটাই সাহায্য করছে পশ্চিম এশিয়ায় রাজনীতিতে ভারতকে সুবিধাজনক জায়গায় নিয়ে যেতে। ফেব্রুয়ারি মাসে পুলওয়ামা আক্রমণের পরে ভারত সফর করেছিলেন মোহাম্মদ বিন সালমান।
সে সময় ইসলামাবাদ সফর শেষে তার নয়াদিল্লিতে আসার কথা ছিল। কিন্তু মোদির অনুরোধে তিনি সফরসূচি বদলে ফেলে পৃথক ভাবে ভারতে রাষ্ট্রীয় সফর করেন। সাম্প্রতিক সময়ে কাশ্মীর ইস্যুতে মুসলিম দেশগুলোকে পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তান। এই ইস্যুতে ভারতও চেষ্টা করছে বিভিন্ন দেশের সমর্থন অর্জন করতে।
টিটিএন/এমএস
Advertisement