তিন বছরের বেশি সময়ের চড়াই-উতরাই আর অচলাবস্থার পর অবশেষে নির্ধারিত সময়ের ১৪ দিন আগে বেক্সিট চুক্তিতে সম্মত হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। যুক্তরাজ্য ও ইইউ নেতাদের মধ্যে বৈঠকের আগে ব্রাসেলসে উভয় পক্ষ এ নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছায়। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ব্রিটেনের মধ্যকার নতুন ব্রেক্সিট চুক্তির খসড়া নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে।
Advertisement
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ সংসদ সদস্য সিদ্দিক মনে করেন, এই খসড়া নিয়ে সংসদে বিতর্কের জন্য অনেক কম সময় বরাদ্দ রাখা হয়েছে৷
ব্রেক্সিট নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর বৃহস্পতিবার ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ সংক্রান্ত নতুন এক চুক্তির খসড়া প্রস্তুত করেছে। শনিবার ব্রিটিশ সংসদে এ চুক্তি অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হবে। তবে, অনুমোদনের ভোটাভুটির আগে মাত্র ৯০ মিনিট এ বিষয়ে বিতর্কের সুযোগ পাবেন সংসদ সদস্যরা যা যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন টিউলিপ সিদ্দিক৷
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এ ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ বৃহস্পতিবার টুইটারে লিখেন, ‘এটা অত্যন্ত অমার্যাদাকর ব্যাপার যে এ চুক্তি নিয়ে শনিবার ভোটাভুটির আগে আমাদেরকে মাত্র ৯০ মিনিট সময় দেয়া হবে। এটা হচ্ছে বর্তমান সরকারের তৈরি ক্ষতিকর ব্রেক্সিট চুক্তির ব্যাপারে বিতর্কে সুযোগ না দেয়ার সর্বশেষ উদাহরণ। আমাদের দেশের ভবিষ্যত সঙ্কটাপন্ন।’
Advertisement
এদিকে, ব্রিটেনে প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির প্রধান জেরেমি কর্বিন জানিয়েছেন তার দল সংসদে নতুন ব্রেক্সিট চুক্তির পক্ষে ভোট দেবে না।
It's an absolute disgrace that we will only be given 90 mins to debate this deal before voting on Saturday. Just the latest example of this Government shutting down debate over their damaging Brexit plans. The future of our country is at stake.
— Tulip Siddiq (@TulipSiddiq) October 17, 2019তিনি বলেন, ‘এই বিশ্বাসঘাতকতামূলক চুক্তি ব্রিটেনকে ঐক্যবদ্ধ করবে না এবং এটি প্রত্যাখ্যান করা উচিত। ব্রেক্সিট সঙ্কট সমাধানের সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে জনগণের চূড়ান্ত মতামত জানতে গণভোটের আয়োজন করা।’
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস অবশ্য ব্রেক্সিট চুক্তির নতুন খসড়াকে এক কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। বার্লিনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ চুক্তি এটাই প্রমাণ করে যে আমরা সবাই দায়িত্বের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করেছি।’
Advertisement
হাইকো মাস অবশ্য এটাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে চুক্তিটি নিয়ে এখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর সুযোগ নেই। কেননা এটি নিয়ে ইইউ নেতাদের বৈঠকে এবং ইউরোপীয় সংসদে আলোচনা এখনো বাকি আছে৷
এএইচ/এমএস