মাহিমা আক্তার লামিয়া, বয়স পাঁচ। রাজধানীর ডেমরা থানার নূর মসজিদ সংলগ্ন বাঁশেরপুল এলাকায় নানা বাড়িতে মায়ের সঙ্গেই থাকে। প্রতিদিন মা লাকি আক্তারের আঁচল ধরে স্থানীয় একটি মাদরাসায় প্লে-গ্রুপে পড়তে যায় সে। গত ৭ অক্টোবর একইভাবে লামিয়াকে মাদরাসায় রেখে বাসায় ফেরেন মা।
Advertisement
তবে কিছুক্ষণ পর খবর পান, এক নারী নিজেকে লামিয়ার খালা পরিচয় দিয়ে মাদরাসায় ঢুকে তাকে অপহরণ করে নিয়ে চলে গেছেন। পরে লামিয়ার মুক্তির জন্য ৬০ লাখ টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। একপর্যায়ে লাকি আক্তার ১০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠান এবং ডেমরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) জানায়, জিডি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় ডিবি ডেমরা জোনের পুলিশ পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) মো. সাখাওয়াৎ হোসেনকে। গত সোমবার তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বরগুনা সদরের ফুলঝুড়ি গ্রাম থেকে শিশু লামিয়াকে উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে অপহরণকারী মোছা. শাহিনুর আক্তার (২৬) ও মো. শাহীন হাওলাদারকে গ্রেফতার করা হয়।
ডিএমপি জানায়, আসামিদের গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় অপহরণকারী নারী শাহিনুর লামিয়ার আপন খালা। এই দুজনকে গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার আদালতে পাঠালে তাদেরেএকদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আদালতের সব কার্যক্রম শেষে বুধবার ভোরে লামিয়াকে তার মা লাকি আক্তারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।
Advertisement
এদিন সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে লাকি আক্তার বলেন, লামিয়ার বাবা বাহরাইন প্রবাসী। তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার তিতাস থানার হরিপুর গ্রামে। মেয়েকে নিয়ে বাবার বাসা ডেমরা থানার নূর মসজিদ সংলগ্ন বাঁশেরপুল এলাকায় থাকেন। গ্রেফতার দুজনের মধ্যে তার নিজের বোন রয়েছে, যিনি টাকার জন্য লামিয়াকে অপহরণ করেছিলেন।
এআর/এমএসএইচ/এমকেএইচ