আইন-আদালত

কনকর্ড ভবন এতিমখানাকে দেবে চেম্বার জজ

রাজধানীর আজিমপুরে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানার জায়গায় কনকর্ডের তৈরি ১৮ তলা ভবন এতিমখানাকে হস্তান্তরে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে করা আবেদন তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। ফলে  কনকর্ড কোম্পানির ১৮ তলা ভবন সরিয়ে নিতে হাইকোর্টের আদেশ সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারপতির আদালতে বহাল থাকলো।হাইকোর্টে দেয়া রায় স্থগিত চেয়ে আবাসন প্রতিষ্ঠানের করা আবেদন মঙ্গলবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়ে আদেশ দেন। আদালতে কনকর্ডের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন এ ওয়াই মশিহউজ্জামান।আইনজীবী বলেন, হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী ৩০ দিনের মধ্যে ১৮ তলা ভবন স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানাকে বুঝিয়ে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী।এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে জারি করা এক রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ  আজিমপুরে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানার জায়গায় আবাসন প্রতিষ্ঠান কনকর্ডের তৈরি ১৮ তলা বিল্ডিং এতিমখানাকে হস্তান্তরসহ চার দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট।দফা চারটি হচ্ছে :ক.আজিমপুর এতিমখানার সম্পত্তি সংরক্ষণ করতে হবে,খ. এতিমখানার সম্পত্তি হস্তান্তর সম্পর্কে ২০১৩ সালের ২২ জুলাইয়ের দলিল এবং ২০১৪ সালের ১৩ এপ্রিলের আমমোক্তার নামা দলিল বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। কারণ সে গুলো শুরু থেকেই বাতিল।গ. এতিমখানার জায়গায় কনকর্ডের তৈরি ১৮ তলা বিল্ডিং এতিমখানার পক্ষে বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ঘ. কনকর্ডকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে স্থাপনা ও সম্পত্তি এতিমখানাকে বুঝিয়ে দিতে বলা হয়েছে।সঙ্গে সঙ্গে সরকারকে সম্পত্তি বুঝিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় এবং এতিমখানার প্রয়োজনে ডেভলপ করার নির্দেশও দেয়া হয়।রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ১৯০৯ সালে ঢাকার নবাব ‘সলিমুল্লাহ এতিমখানা’ স্থাপন করে এবং পরবর্তী সরকারের নিকট হতে আজিমপুর সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানা সম্প্রসারণের জন্য বিভিন্ন সময় জমি লীজ নিয়ে পরিচালনা করে আসছে। গত ২০০৩ সালের ২২ জুলাই এতিমখানার সভাপতি শামসুন্নাহার ও সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট জি এ খান আহসান উল্লাহ এতিমখানার ২ বিঘা জমি ডেভলপার কোম্পানি কনকর্ডের কাছে হস্তান্তর করেন । এতিমখানার সম্পত্তি অবৈধ হস্তান্তর সংক্রান্ত প্রতিবেদন দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ পায়। পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর তা সংযুক্ত করে চার জন ছা্ত্রের পক্ষে রিট পিটিশন দায়ের করেন মনজিল মোরসেদ। পরবর্তীতে উক্ত রিট পিটিশনে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যাণ্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) পক্ষভুক্ত হয়।রিট আবেদনে বলা হয়, এতিমখানার সম্পত্তি সরকারে নিকট থেকে লিজ নেওয়া এবং লিজ চুক্তিতে এতিম খানার সম্প্রসারণের জন্য বিনামূল্যে দেয়া হয় এবং শর্ত ছিল প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন ব্যাতীত অন্য কোন কাজে জমি ব্যবহার করা যাবে না। তা সত্বেও এতিমখানার সভাপতি ও সেক্রেটারী সম্পূর্ণ অবৈধভাবে আর্থিক লাভবান হয়ে এতিমখানার সম্পত্তি কনকর্ড গ্রুপের নিকট হস্তান্তর করেছিলো।এফএইচ/এআরএস/আরআইপি

Advertisement