আফ্রিকা মহাদেশের একেবারে উত্তরে ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী ছোট্ট দেশ তিউনিসিয়া। দেশটির উপকুলে ইসলামের আলো ছড়ানো মসজিদ কাইরুয়ান। যে মসজিদ থেকে আফ্রিকা মহাদেশে প্রথম আজান শুরু হয়। ইসলামের আগমন বার্তা প্রচারিত হতে থাকে সমুদ্র তীরবর্তী এ মসজিদ থেকে।
Advertisement
৫০ হিজরি সালে নির্মিত হয় এ মসজিদ। সে হিসেবে মসজিদটি প্রায় হাজার বছরের পুরোনো। আফ্রিকা মহাদেশের এ প্রাচীন মসজিদটি স্থাপন করেন হজরত উকবা বিন নাফি রাহমাতুল্লাহি।
ইসলামের অন্যতম খলিফা হজরত আমীর মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহুর সেরা সামরিক কমান্ডার এ উকবা বিন নাফি। তিনিই ৯ হাজার বর্গমিটার জায়গাজুড়ে এ মসজিদটি নির্মাণ করেন। আর এ মসজিদ থেকেই আফ্রিকা মহাদেশে সর্বপ্রথম আজানের ধ্বনি উচ্চারিত হয়।
তিউনিসিয়া দেশটি ছোট্ট হলেও এর প্রায় সব নাগরিকই মুসলিম। দেশটি ১৮৮১ সাল থেকে ফ্রান্সের অধীন ছিল। দীর্ঘদিন পর১৯৫৬ সালে দেশটি ফ্রান্সের উপনিবেশ থেকে স্বাধীনতা লাভ করেন। বর্তমানে দেশটির রাষ্ট্রধর্মও ইসলাম।
Advertisement
আফ্রিকা মহাদেশের মুসলিম অধ্যুষিত ছোট্ট দেশটি বিভিন্ন কারণে পর্যটকদের জন্য জনপ্রিয় দর্শণীয় স্থান। তিউনিসিয়ার আবহাওয়া চমৎকার। সমুদ্র তীরবর্তী দেশটির রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া ও নয়নজুড়ানো বেলাভূমিই পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।
এছাড়াও দেশটির বিচিত্র ভূ-প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলী, সাহারার মরূদ্যান এবং সুরক্ষিত প্রাচীন রোমান প্রত্নতত্ন স্থান ও স্থাপনাগুলোও বিখ্যাত।
এ মসজিদটি স্থানীয় শহরের নামেই পরিচিত। কাইরুয়ান শহরের এ মসজিদটি স্থানীয় নাম ছাড়াও উকবা জামে মসজিদ নামেও পরিচিতি। আফ্রিকা মহাদেশে এ মসজিদ থেকে প্রথম আজান দেয়ার কারণে ইসলামের ইতিহাসেও এ মসজিদের গুরুত্ব অপরিসীম।
সামরিক কমান্ডার উকবা বিন নাফের করা মসজিদটি আয়তনে অনেক ছোট ও সাধারণ স্থাপনা থাকলেও যুগে যুগে বিভিন্ন আমলের শাসকরা মসজিদটির ব্যাপক উন্নতি সাধন করে। বর্তমানে যা দেখতে সত্যি অপরূপ দৃষ্টিনন্দন স্থাপনায় পরিণত হয়েছে।
Advertisement
বাহির থেকে দেখতে মসজিদটিকে একটি শক্তিশালী দুর্গ মনে হয়। ৫ গম্বুজ ও ৯ প্রবেশ গেটে নির্মাণ করা হয়েছে এ মসজিদ। মসজিদের মেহরাবের কাছে ছোট নিচু ছাদ বিশিষ্ট ‘মাকসুরা’ নামে একটি কক্ষও রয়েছে।
এমএমএস/এমএস