অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়ায় মার্কিন বাঙালি অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ ব্যানার্জিকে ব্যানার্জিকে অভিনন্দন জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
Advertisement
ভারতীয় বংশোদ্ভূত বাঙালি অভিজিৎ ব্যানার্জি ও তার ফরাসি বংশোদ্ভূত মার্কিন স্ত্রী চলতি বছর অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। বৈশ্বিক দারিদ্র বিমোচনের তত্ত্ব দিয়ে তারা নোবেল জিতেছেন। তাদের সঙ্গে যৌথভাবে আরেক মার্কিন অর্থনীতিবিদ মাইকেল ক্রেমার।
অভিজিৎ ব্যানার্জিকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে তার অবদানেরও প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘অর্থনীতিতে নোবেল পাওয়ার জন্য অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন। দারিদ্র্য বিমোচনে তার উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।’
Congratulations to Abhijit Banerjee on being conferred the 2019 Sveriges Riksbank Prize in Economic Sciences in Memory of Alfred Nobel. He has made notable contributions in the field of poverty alleviation.
Advertisement
অভিজিৎ ব্যানার্জির নোবেল প্রাপ্তির খবরে তাকে অভিনন্দন জানিয়ে এক টুইট বার্তায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি লিখেছেন, ‘অর্থনীতিতে নোবেল পাওয়ায় কলকাতার সাউথ পয়েন্ট স্কুল ও প্রেসিডেন্সি কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী অভিজিৎ ব্যানার্জিকে হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে অভিনন্দন।’
কলকাতায় জন্ম ও বেড়ে ওঠা এবং বাঙালি অধ্যাপক পরিবারের সন্তান অভিজিৎ-নোবেল পাওয়ার ঘটনায় তার উদ্দেশে মমতা লিখেছেন, ‘আরেকজন বাঙালি পুরো জাতিকে গর্বিত করলো। আমরা আনন্দে আত্মহারা। জয় হিন্দ। জয় বাংলা।’
Hearty congratulations to Abhijit Banerjee, alumnus of South Point School & Presidency College Kolkata, for winning the Nobel Prize in Economics. Another Bengali has done the nation proud. We are overjoyed. জয় হিন্দ । জয় বাংলা ।
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) October 14, 2019টুইটারে অভিজিৎ ব্যানার্জিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তার বিদ্যাপীঠ জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও ভারতের বর্তমান অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তিনি লিখেছেন, ‘দারিদ্র্য দু্রীকরণে অবদানের জন্য ২০১৯ নোবেল পুরষ্কার পাওয়ায় অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন। জেএনইউ এর পক্ষ থেকে এসথার ডাফলো (অভিজিৎ-এর স্ত্রী) এবং মাইকেল ক্রেমারকেও অভিনন্দন।’
Advertisement
Congratulations #AbhijitBanerjee on being awarded the 2019 Nobel Prize for your contribution for easing poverty. #JNU Also wishing Esther Duflo and Michael Kremer. #NobelPrize2019
— Nirmala Sitharaman (@nsitharaman) October 14, 2019ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধীও এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়ায় অভিজিৎকে অভিনন্দন। অভিজিৎ ন্যূনতম আয় যোজনার ধারণা দিয়ে সাহায্য করেছেন। যা দারিদ্র্যকে নিপাত করে ভারতের অর্থনীতিকে গতি দেয়ার ক্ষমতা রাখে।
Congratulations to #AbhijitBanerjee on winning the Nobel Prize in Economics. Abhijit helped conceptualise NYAY that had the power to destroy poverty and boost the Indian economy. Instead we now have Modinomics, that’s destroying the economy and boosting poverty. https://t.co/joBYusVFKT
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) October 14, 2019১৯৬১ সালে কলকাতায় অধ্যাপক মা-বাবার ঘরে অভিজিৎ ব্যানার্জির জন্ম। কলকাতার সাউথ পয়েন্ট স্কুল, প্রেসিডেন্সি কলেজে অধ্যয়ন শেষে স্নাতোকত্তর সম্পন্ন করেন দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যলয় থেকে। তারপর হার্ভার্ডে পিএইচডি শেষে এখন এমআইটিতে স্ত্রীর ডাফলোর সঙ্গে অধ্যাপনা করছেন তিনি।
অমর্ত্য সেনের পরে দ্বিতীয় বাঙালি হিসেবে অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন অভিজিৎ ব্যানার্জি। একই সঙ্গে ফরাসি বংশোদ্ভূত তার স্ত্রী এসথার ডাফলোও গত ৫০ বছর পর দ্বিতীয় এবং সর্বকনিষ্ঠ নারী হিসেবে অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছেন।
বর্তমানে ফোর্ড ফাউন্ডেশনের আন্তর্জাতিক অধ্যাপক হিসেবে এমআইটিতে কর্মরত অভিজিৎ বিনায়ক। বিশ্বের দরিদ্র মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন নিয়ে গবেষণার জন্য স্ত্রী এসথার ডাফলোকে নিয়ে যৌথভাবে তিনি ‘আব্দুল লতিফ জামিল প্রোভার্টি অ্যাকশন ল্যাব’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন।
কলকাতায় জন্ম নেয়া অভিজিতের মা-বাবাও অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত। তার মা নির্মলা ব্যানার্জি কলকাতার সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্সেস এবং বাবা দীপক ব্যানার্জি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন।
অভিজিৎ ব্যনার্জি ও তার স্ত্রী এসথার ডাফলো। ছবি : সংগৃহীত
সোমবার দ্য রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস এবারের অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে অভিজিৎ ব্যানার্জি, তার স্ত্রী এসথার ডাফলো ও অর্থনীতিবিদ মাইকেল ক্রিমারের নাম ঘোষণা করে। বিশ্বে দারিদ্র্য দুরীকরণে গবেষণার জন্য তাদের পুরস্কৃত করা হয়।
এসএ/এমকেএইচ