আর দুই দিন পর প্রবিত্র ঈদ-উল-আযহা। পরিবার পরিজনদের সাঙ্গে ঈদ করতে রাজধানীর কমলাপুরে রেল স্টেশনে দেখা গেছে ঘরমুখো যাত্রীদের উপড়েপড়া ভিড়।মঙ্গলবার সকাল থেকেই কমলাপুর স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ট্রেনের ভেতরে যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। তবে এবার কমলাপুর স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলোর ছাদ খালি ছিল। দুই একটি ট্রেন ১০ থেকে ২০ মিনিট বিলম্ব হলেও বেশির ভাগ সঠিক সময়ে ছেড়েছে বলে জানিয়েছেন স্টেশন কর্মকর্তা। এদিকে, নাড়ির টানে এসব মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটছেন নিজ নিজ গন্তব্যে। বাড়ি ফেরার আনন্দই অন্যরকম সে রকমই একটা পরিবেশ বিরাজ করছে যাত্রীদের মাঝে।স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে সকালে কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছান আফজাল মিয়া। যাত্রীদের ভিড়ে ভোগান্তি নিয়ে তিনি বলেন, অফিস ছিল, কিন্তু বছরে একবার বাড়ি যাই তাই ছুটি নিয়ে চলে এসেছি। চট্টগ্রাম যাবো, ভিড় আর বিড়ম্বনা এড়াতে আগে এসেছিলাম, এসে সেই বিলম্বের মধ্যেই পড়তে হল। এদিকে, দুই একটি ট্রেনের সিডিউল বিপরর্যয়ের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে কিছু যাত্রী। রাজশাহীর যাত্রী হাফিজ জানায়, অনেক কষ্টে টিকিট কেটেছি গ্রামে যাবো। সকাল ১১টায় ২০ মিনিটে ছাড়ার কথা। এখন বলছে ট্রেন ছাড়ার সম্ভব্য সময় দুপুর ১টা ১০ মিনিট। কমলাপুর রেলওয়ে ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী জাগো নিউজকে বলেন, ট্রেন সঠিক সময়ে ছাড়ার কারণে যাত্রীরা স্টেশনে আসার সঙ্গে সঙ্গে নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যাচ্ছে। তেমন ভিড় হচ্ছে না। বিলম্বে ট্রেন ছাড়া সম্পর্কে তিনি বলেন, দুই একটি ট্রেনের ১০ থেকে ২০ মিনিট দেরিতে ছেড়েছে। তবে বাকিগুলো সঠিক সময়ে ছেড়েছে। রেলের সার্বিক ব্যবস্থাপনা স্বাভাবিক রয়েছে।চাপাইনবাবগঞ্জগামী রাজশাহী এক্সপ্রেস সকাল ১১টা ২০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও এখনো তা কমলাপুর পৌঁছায় নি। ফলে ট্রেনটি ছাড়ার সম্ভাব্য সময় দেওয়া হয়েছে ১টা ১০ মিনিটে। এর কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ট্রেনটি লোকাল ও মালবাহী ঈদের সময় যাত্রীবহন করে। এসআই/এএইচ/পিআর
Advertisement