সময় সোমবার দুপুর ১২টা ৩৪ মিনিট। হঠাৎ বেজে উঠল ফায়ার অ্যালার্ম। দ্রুতগতিতে ১৪ তলাবিশিষ্ট প্রাণ সেন্টারের ভবন থেকে নামতে থাকেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। মিনিট দুয়েকের মধ্যে হাজির হয় ফায়ার সার্ভিসের বারিধারা ইউনিটের দুটি গাড়ি। শুরু হয় উদ্ধার ও আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রতিষ্ঠানটির ফায়ারম্যানরাও।
Advertisement
৪০ মিনিট পর জানা গেল আসলে অগ্নিকাণ্ড নয়, বরং আগুন লাগলে তা মোকাবিলা ও সচেতনতা বাড়াতে প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতায় এই মহড়ার আয়োজন করে ফায়ার সার্ভিস।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর বাড্ডায় প্রাণ সেন্টারে এ অগ্নিনির্বাপণ মহড়ার আয়োজন করা হয়।
মহড়া চলাকালে বারিধারা ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবুল কালাম আজাদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাণিজ্যিক ভবনগুলোতে অগ্নিমহড়ার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য অগ্নিদুর্ঘটনা এড়ানো ও অগ্নিনির্বাপণের বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রায়ই মহড়ার আয়োজন করা হয়।’
Advertisement
মহড়া চলাকালীন প্রাণ সেন্টারের জরুরি বহির্গমন সিঁড়ি দিয়ে বাইরে নেমে আসা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘একটি ভবনে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে আগে ভবন ত্যাগ করতে হবে। কারণ আগুন লাগার ৪-৫ মিনিটের মধ্যে তা ছড়িয়ে যায়। তখন ওই ভবনে অবস্থান করার অর্থ জীবনের ঝুঁকি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের জীবনের মূল্য দিতে জানতে হবে। আর কোনো এফআর টাওয়ারের মতো ঘটনা ঘটুক, তা আমরা চাই না।’
প্রাণ সেন্টারে অগ্নিনির্বাপণ মহড়া সম্পর্কে প্রাণ গ্রুপের হেড অব অ্যাডমিন মমিন হোসেন খান জানান, ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দু’দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছিল। প্রশিক্ষণ শেষে আজ ছিল মহড়া।
তিনি বলেন, ভবনের অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রপাতি যাচাই, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সচেতনতা এবং জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যই এ মহড়ার আয়োজন করা হয়।
Advertisement
জেইউ/এসআর/পিআর