একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের পাঁচ রাজাকারের বিরুদ্ধে পুনরায় অভিযোগ গঠনের শুনানি সোমবার ( ২৮ সেপ্টেম্বর) নির্ধারণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল। আসামি পক্ষের সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ এ দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মাদ আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বেঞ্চ এই দিন নির্ধারণ করেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতিরা হলেন মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মাদ সোহরাওয়ার্দী।এরআগে ওই মামলার অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয় হাইকোর্টে স্থানান্তরিত বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনালে। তাই নবগঠিত বিচারপতিরা আসামিদের অভিযোগ সম্পর্কে অবগত নন। তাই তাদের অবগতির জন্যই অভিযোগগুলোর পুনরায় শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়।ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন, প্রসিকিউটর তাপস কান্তি বল এবং প্রসিকিউটর সুলতানা রেজিয়া। অপরদিকে আসামিপক্ষে উপস্থিত ছিলেন শামসুদ্দিনের আইনজীবী মোহাম্মদ আতিকুর রহমান ও পলাতক চার জনের পক্ষে ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে রাষ্ট্রীয় খরচে নিযুক্ত আইনজীবী আব্দুস শুকুর খান।মামলায় পলাতক চার আসামিরা হলেন, শামসুদ্দিনের সহোদর সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মো. নাসিরউদ্দিন আহমেদ, গাজী আব্দুল মান্নান, হাফিজ উদ্দিন ও আজহারুল ইসলাম।এর আগে গত ১৩ মে পাঁচ রাজাকারের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, আটক, লুণ্ঠন, নির্যাতনসহ সাতটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে।আসামিরা কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার বিদ্যানগর, আয়লা, ফতেরগুপ বিল, পীরাতন বিল ও আশেপাশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এসব মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেছেন বলে অভিযোগে রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের পক্ষে ৪০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।এফএইচ/এআরএস/পিআর
Advertisement