দেশজুড়ে

সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে পানির সংকট, টিউবওয়েলে পানি ওঠে না

নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলায় পানির সংকটে রয়েছে সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাসকারীরা। উপজেলার পূর্ব হাতিয়র এলাকায় সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পটিতে আড়াইশ মানুষ পানির সংকটে রয়েছেন।

Advertisement

জীবন সংগ্রামে টিকে থাকার ক্ষেত্রে অন্যান্য সমস্যা আশ্রয়কেন্দ্রের বাসিন্দারা কোনোরকম মোকাবিলা করতে পারলেও মোকাবিলা করতে পারছেন না পানির সংকট।

কেউ কেউ ভাঙা ঘর, টয়লেট সমস্যা উপেক্ষা করে টিকে থাকলেও পানি সংকটের জন্য অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন বলে দাবি আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের।

আশ্রয়কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ ঘর ভাঙাচোরা জরাজীর্ণ পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। পরিত্যক্ত হয়ে পড়ায় এসব ঘরগুলোতে জন্মেছে পরগাছা। পানি সংকট মোকাবিলা করতে না পেরে এরই মধ্যে নয়টি পরিবার অন্যত্র চলে গেছে।

Advertisement

বসবাসকারীদের মধ্যে হ্যাপি, সেলিম ও মোস্তফা জানান, দীর্ঘদিন ধরে পানির সমস্যায় ভুগছেন তারা। কিন্তু সরকারি কোনো কর্মকর্তা বা জনপ্রতিনিধি তাদের খোঁজখবর নেন না।

সরেজমিনে দেখা যায়, আশ্রয়কেন্দ্রের পাঁচটি ব্যারাকের কোথাও সরকারি টিউবওয়েল নেই। এমন পরিস্থিতিতে আড়াইশ মানুষ মিলে প্রতিদিন পানির জন্য সংগ্রাম করছেন। বেসরকারি সংস্থা একটি টিউবওয়েল দিয়েছে। তবে সেটি থেকেও ঠিকমতো পানি ওঠে না। এছাড়া আড়াইশ মানুষের পানির চাহিদা মেটাতে একটি টিউবওয়েল যথেষ্ট নয়। কাপড় ধোয়া, গোসল, রান্নাবান্নাসহ খাওয়ার পানি সংগ্রহ করতে গেলে সিরিয়ালের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় তাদের। এসব ঘটনায় নিজেদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয়।

আশ্রয়কেন্দ্রের সদস্যদের পানির সমস্যা দূরীকরণে তাদের প্রধান দাবি ‘টিউবওয়েল’। তারা আশা করছেন কর্তৃপক্ষ এ সমস্যার কথা না জানলেও সংবাদমাধ্যম থেকে জানতে পেরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।

আটপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজা সুলতানা বলেন, সমস্যাগুলো সম্পর্কে আমি অবগত নই। তবে খোঁজ নিয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নেব।

Advertisement

নেত্রকোনার ১০টি উপজেলায় ১৯৮টি ব্যারাকে ১৬৯১টি পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হয়। এর মধ্যে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কিছু সংখ্যক ব্যারাককে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।

কামাল হোসাইন/এএম/এমএস