বাংলাদেশে এই প্রথম কোনো স্থান বিশ্ব কারুশিল্প শহরের মর্যাদা পেল। আর সেটি হলো ঈসা খাঁর রাজধানী নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ। সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড কমিউনিকেটরস কাউন্সিল (ডব্লিউসিসি) কারুশিল্প সৌন্দর্যের অপরূপ সোনারগাঁকে আন্তর্জাতিক কারুশিল্প শহরের মর্যাদা দিয়েছে।
Advertisement
সোনারগাঁ মুসলিম শাসকদের অধীনে পরিচালিত পূর্ববঙ্গের প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল। এটি ‘বড় সরদার বাড়ি’ খ্যাত ঈসা খাঁর জমিদার বাড়ি হিসেবেও পরিচিত।
ওয়ার্ল্ড কমিউনিকেটরস কাউন্সিল (ডব্লিউসিসি) প্রাচীন বাংলার রাজধানী ও মসলিনের শহর নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলাকে বিশ্ব কারুশিল্প শহরের মর্যাদা দিয়েছে। এর মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী সোনারগাঁয়ের সুনাম ও কৃতিত্ব বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত হবে।
ওয়ার্ল্ড কমিউনিকেটরস কাউন্সিল (ডব্লিউসিসি)-এর কাছে সোনারগাঁকে কারুশিল্প শহরের মর্যাদা দিতে বাংলাদেশ কারুশিল্প ফাউন্ডেশন ও জামদানি উৎসবের আয়োজক বেঙ্গল ফাউন্ডেশন যৌথ আবেদন করেন।
Advertisement
আবেদনের প্রেক্ষিতে গত সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে ডব্লিউসিসির বিচারক দল সোনারগাঁ ঘুরে যান। পরিদর্শনের পরই জামদানি ও তাঁতশিল্পের জন্য সোনারগাঁকে বিশ্ব কারুশিল্প শহরের মর্যাদা দিয়ে চিঠি দেয় ওয়ার্ল্ড কমিউনিকেটরস কাউন্সিল। ফলে বাংলাদেশে এই প্রথম কোনো স্থান বিশ্ব কারুশিল্প শহরের মর্যাদা দিল ডব্লিউসিসি।
ওয়ার্ল্ড কমিউনিকেটরস কাউন্সিল (ডব্লিউসিসি)-এর স্বীকৃতির ফলে জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিজ্ঞতা ও কৌশল বিনিময়ের ক্ষেত্র তৈরি করবে।
এছাড়াও এ স্বীকৃতির মাধ্যমে ভারতের মহাবলিপুরম (পাথর খোদাই) ও জয়পুর (গহনা), চীনের ফুশিন (অ্যাগেট), থাইল্যান্ডের সাখন নাখন (ইন্ডিগোডাই), ডেনমার্কের বর্নহোম (সিরামিক), ইরানের কারপোরগান (মৃৎশিল্প) ও ইসফাহানসহ বিশ্বের অন্যান্য কারুশিল্প শহরের সঙ্গে সহযোগিতা, অংশীদারিত্ব ও বিনিময়ের অভিনব সুযোগ পাবে সোনারগাঁ।
সর্বোপরি কারুশিল্পের সুন্দর নগরী সোনারগাঁ বিশ্ব কারুশিল্প পরিষদের স্বীকৃতি লাভ করায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্থানীয় উদ্ভাবনী শক্তি, মেধা ও অভিজ্ঞতার পরিধি এবং বিশ্বের অন্যান্য কারুশিল্প শহরের সঙ্গে সহযোগিতা, অংশীদারিত্ব ও বিনিময়ের মাধ্যমে ব্যাপক সুযোগ-সুবিধা আর পরিচিতি লাভ করবে সবুজ শ্যামল বাংলাদেশ।
Advertisement
এমএমএস/পিআর