সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করে উন্নত চিকিৎসা প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আরিফুল হক চৌধুরী নিযুক্ত আইনজীবী অ্যাড. মো. লালাকে আরিফের পক্ষে ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে মামলা চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।ফলে এখন থেকে আরিফুল হক চৌধুরীকে রায় পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে হবে না। এ সময় ট্রাইব্যুনাল স্বাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ধার্য করা হয়।সোমবার বিকেলে সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মকবুল আহসান এ আদেশ দেন। তবে এই মামলায় হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র বরখাস্তকৃত জিকে গৌছের করা জামিন আবেদন নাকচ করে দেন আদালত।সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের প্রথম কার্য দিবস ছিল। কিন্তু প্রথম কার্য দিবসে ট্রাইব্যুনালে হাজির হননি মামলার বাদি সংসদ সদস্য আব্দুল মজিদ খানসহ পাঁচজন। তারা ট্রাইব্যুনালে হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে সময়ের আবেদন করলে পিছিয়ে যায় আলোচিত এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ।তবে ট্রাইব্যুনালে আসামি সিলেট সিটি করর্পোরেশনের বরখাস্তকৃত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্টের উপর ও হবিগঞ্জের বহিষ্কৃত পৌর মেয়র জিকে গৌছের জামিনের আবেদনের উপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আরিফুল হকের আইনজীবী অ্যাড. মো. লালা জানান, দণ্ডবিধি ৫৪০/এ ধারা মতে ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দিয়েছেন।এর আগে সোমবার সকালে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বরখাস্তকৃত মেয়র, সাবেক স্বরাষ্ট প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, হবিগঞ্জ পৌর মেয়র জিকে গৌছ, হুজির শীর্ষ নেতা মুফতি হান্নানসহ সকল আসামিকে পুলিশি পাহারায় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে নিয়ে আসা হয় ট্রাইব্যুনালে। শুনানি শেষে আবারো আসামিদের কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নেয়া হয় কারাগারে।প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যের বাজারে এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। হামলায় নিহত হন কিবরিয়ার ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদা, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী।এ ঘটনায় হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।ছামির মাহমুদ/এআরএ/বিএ
Advertisement