জমে উঠেছে রাজধানীর পূর্বাঞ্চলমুখী ৩০০ ফুট প্রশস্ত সড়কের পাশের বাংলাদেশ পুলিশের হাউজিং এর জমিতে বসা পশুর হাট। ট্রাকে ট্রাকে আসছে গরু, গত রোববার বৃষ্টির কারণে হাটে কেনাবেচায় বিঘ্ন ঘটলেও আজ হাট ছিল জমজমাট। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, কোরবানির পশুর দাম চড়া।সোমবার বিকেলে বসুন্ধরা এলাকার পূর্বাঞ্চলমুখী ৩০০ ফুট’ এই পশুর হাট ঘুরে জানা গেছে এ তথ্য।তবে এ হাটের অনেক বিক্রেতারা দর-দাম পর্যবেক্ষণ করছেন। দাম ভালো মিললে ছেড়েও দিচ্ছেন কেউ কেউ। অন্যান্য বার অনেক বিক্রেতা লোকসানের আহাজারি শোনালেও এবার তা এখনো চোখে পড়েনি।আসলাম উদ্দিন নামে টাঙ্গাইলের এক গরু ব্যবসায়ী বলছেন, বৃষ্টি বিঘ্নিত আজকের দিনও। তবে আজ কয়েক শ, পশু বিক্রি হয়েছে এ হাটে। আবহাওয়া ভালো থাকলে ব্যবসা এবার ভালই হবে। নিজেও লাভ করে ৩টি গরু বিক্রি করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি ।এ হাটে সর্বোচ্চ ৬ লাখ টাকা দাম চাওয়া হয়েছে একটি কালো রঙের ষাঁড়ের। নিজস্ব খামারে পালিত বলেই কি-না দামটা একটু বেশি। দুপুরে বৃষ্টি নামার পর গরু ব্যবসায়ীরা গরুর খোয়াড়ের উপর লাগিয়েছেন নানা রঙয়ের শামিয়ানা। হাটের ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই হাটে ব্যবসায়ী শ্রেণির মানুষ কোরবানির পশু বেশি কেনেন। ৮০ থেকে পৌনে ২ লাখ টাকা দামের গরুর চাহিদা এখানে সবচেয়ে বেশি। তবে ৩৫ থেকে ৭০ হাজারেরও চাহিদা কম না।তবে বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ক্রেতাদের অভিযোগ, যেসব গরুর দাম এক লাখ তা চাওয়া হচ্ছে আড়াই লাখ। দাম ও চাওয়ার মধ্যে বিস্তর পার্থক্য থাকায় ক্রয় করতে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা।সেলিম হোসেন নামের এক ক্রেতা জানান, গরু কিনতে ২ দিন আসলাম। গরু পছন্দ হলেও দামে মিলছে না। মনে হচ্ছে দাম বেশি করে চাওয়া হচ্ছে। তাই আরো একদিন পর্যবেক্ষণ করবো। এরপর গরু কিনবো।হাটের ইজারাদার মেসার্স নীলিমা ট্রেডার্স এর মালিক বিল্লাল হোসেন বলেন, প্রতিদিন শ’খানেক ট্রাকে করে গরু আসছে। জমে উঠেছে হাট। কাল থেকে আরো জমজমাট হবে হাট। এ হাটে ক্রেতারা চাইলে অনেক ভালো মানের গরু পাবেন। সরবরাহ ভালো থাকায় গরুর সংকট হবে না বলে জানান তিনি।জেইউ/এসকেডি/আরআইপি
Advertisement