এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে তৃতীয় লিঙ্গের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিলো নেপাল। একইসঙ্গে কয়েক শ` বছরের হিন্দুরাষ্ট্রের তকমা থেকে বের হয়ে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে পরিণত হলো দেশটি।সংশোধিত নতুন সংবিধানে নেপালের সমপ্রেমী, উভয় লিঙ্গ, রুপান্তরকামীদেরকে সমান অধিকার দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দেশটিতে এসব নাগরিকদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ যাতে কেউ করতে না পারে সে সম্পর্কেও আইন পাস করা হয়েছে।এশিয়ার প্রথম এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইকুয়েডরের পর বিশ্বের তৃতীয় দেশ হিসাবে এলজিবিটি সম্প্রদায়ের জন্য পৃথক আইন পাস হলো নেপালে। দেশটির নতুন সংবিধানের ১২ নাম্বার ধারায় বলা হয়েছে, সরকারি পরিচয়পত্রে নাগরিকরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী লিঙ্গ পরিচিতি বেছে নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে পুরুষ, নারী ও অন্যান্য শিরোনামে তিনটি বিকল্প রাখা হয়েছে।১৮ নাম্বার ধারায় বলা হয়েছে, আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংখ্যালঘু লিঙ্গের প্রতি কোনো পক্ষপাত দেখাবে না। ওই ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, আইন প্রণয়ন করে সরকার সংখ্যালঘু লিঙ্গের নাগরিক এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার সুরক্ষিত, উন্নত ও শক্তিশালী করতে পারবে।উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ডিসেম্বর মাসে এলজিবিটি সম্প্রদায়ের সমান অধিকারের জন্য প্রথম পদক্ষেপ গ্রহণ করে নেপাল। একইসঙ্গে সংখ্যালঘু লিঙ্গের নাগরিকদের সমান অধিকার দেওয়ার ব্যাপারে সরকারকে নির্দেশ দেয় দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। এসআইএস/আরআইপি
Advertisement