বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিস্মিত ও মর্মাহত হয়েছে যুক্তরাজ্য।
Advertisement
বুধবার ঢাকাস্থ হাইকমিশন থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমন প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, বুয়েটে ঘটে যাওয়া ঘটনায় আমরা বিস্মিত ও মর্মাহত।
যুক্তরাজ্য বাকস্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রসঙ্গে নিঃশর্তভাবে অঙ্গীকারাবদ্ধ বলেও উল্লেখ করা হয়।
ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক কয়েকটি চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে মন্তব্যের সূত্র ধরে শিবির সন্দেহে আবরারকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রোববার রাতে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন বলে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ।
Advertisement
ওই ঘটনায় বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলসহ গ্রেফতার দশজনকে মঙ্গলবার পাঁচদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সাংগঠনিক তদন্তের ভিত্তিতে আগের রাতেই বুয়েট ছাত্রলীগের ১১ জনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার কথা জানিয়েছে।
ঘটনার পর সোমবার থেকেই আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। হত্যার ঘটনার প্রায় ৪০ ঘণ্টা পর উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম আজ প্রকাশ্যে আসেন। উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সামনে না আসায় ক্ষোভ জানান শিক্ষার্থীরা। পরে মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে উপাচার্য সশরীরে এসে এ বিষয়ে জবাবদিহি না করলে কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা। এরপর সন্ধ্যা ৬টার পর উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সামনে আসেন।
শিক্ষার্থীদের সামনে এসে তোপের মুখে পড়েন উপাচার্য। তারা ভিসিকে বলেন, ‘এটা একটা খুন, আপনাকে স্বীকার করতে হবে’।
উপাচার্যকে প্রায় ৪০ মিনিট অবরুদ্ধও করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে আববার হত্যায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান।
Advertisement
জেপি/এনএফ/জেআইএম