সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তির সুযোগপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা এগিয়ে আছে। শুক্রবার অনুষ্ঠিত চলতি বছরের এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় মোট ৮২হাজারেরও বেশী শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।এবার নতুন ৭টিসসহ মোট ৩০টি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও ১টি ডেন্টাল কলেজ ও ৮টি ডেন্টাল ইউনিটে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন মোট ৩ হাজার ৬শ’৯৪ জন মেধাবী শিক্ষার্থী। এর মধ্যে সরকারি মেডিকেলে ৩ হাজার ২শ’১২ ও ডেন্টাল কলেজে ৫৩২ জন। জাগো নিউজের অনুসন্ধানে জানা গেছে, মোট মেধাবী শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ হাজার ৯শ’৬০ জন ছেলে ও ১হাজার ৭শ’৩৪ মেয়ে। শতকরা হিসেবে এ হার শতকরা ৫৩ ভাগ ছেলে ও ৪৭ ভাগ মেয়ে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য অধিদফতরের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জাগো নিউজকে এ তথ্যের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিগত কয়েক বছরের ফলাফলে পুরুষ শিক্ষার্থীদের তুলনায় মেয়েরা এগিয়ে ছিল। এবারই ব্যতিক্রম ঘটলো।স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত মেধা তালিকা অনুযায়ী বিভিন্ন মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে অপেক্ষমাণ তালিকায় মোট ৬১৯ জন শিক্ষার্থীকে রাখা হয়েছে। আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় উঠলেও সোমবার উচ্চ আদালতে রিট খারিজ হয়ে যাওয়ায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা। স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল হান্নান সোমবার বিকেলে জাগো নিউজের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে আর কোন বিতর্কের সুযোগ নেই। উচ্চ আদালতে ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের রিট খারিজের মাধ্যমে প্রমাণিত হলো গত কয়েকদিন যাবত আমরা যা বলছিলাম তাই সত্যি।তিনি বলেন, একটি কুচক্রী মহল সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এটিকে রাজনৈতিক ইস্যু বানানোর অপচেষ্টা করছিল। পরীক্ষার আগেই স্বাস্থ্য অধিদফতরের পৃথক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছিল। পরীক্ষার আগ পর্যন্ত প্রশ্নপত্র ফাঁস কিংবা কোনো অনিয়মের অভিযোগ কেউ করেনি বলে তিনি মন্তব্য করেন। এমইউ/এসএইচএস/আরআইপি
Advertisement