লক্ষ্মীপুর-ভোলা-বরিশাল নৌ-রুটে ফেরি সংকটে যানবাহন পারাপারসহ যাত্রী ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। ঈদ-উল-আযহাকে সামনে রেখে প্রিয়জনের কাছে পৌঁছাতে যাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও ট্রলারযোগে প্রমত্তা মেঘনা পাড়ি জমাচ্ছেন। ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটটি ভেঙে যাওয়ার পর ঘাটটির স্থান পরিবর্তন করে গোদুড়িয়া যাওয়ায় ফেরি পারাপারে আট থেকে ১০ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। এতে সময় মতো ফেরি আবার লক্ষ্মীপুর মজুচৌধুরীহাট ফেরিঘাটে পৌঁছাতে পারছে না। জানা গেছে, ফেরি চলাচলের সময়সূচি ঠিক না থাকায় দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আসা যাত্রীদের এ ভোগান্তি আরো চরমে পৌঁছেছে। ভোর ৫টা থেকে ৬টার দিকে দুটি ফেরি ছেড়ে যাওয়ার পর ফেরত আসে রাত ১টা থেকে দেড়টার দিকে। এরপর রাতে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। এতে হাতেগোনা কিছু সংখ্যক যান পারাপার করলেও যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী অসংখ্য যান পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে সদর উপজেলার মজুচৌধুরী হাট ফেরিঘাটে। আরো জানা গেছে, নারী পুরুষ ও তাদের শিশু সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে নদী পারাপারের উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে প্রতিকূল আবহাওয়া উপেক্ষা করে ছোট ছোট ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও ট্রলারে প্রমত্তা মেঘনা পাড়ি জমাচ্ছেন। বর্তমান মেঘনার মোহনায় এ সময়ে ডেঞ্জার জোন বলে সরকার অনুমোদিত ব্যতীত যে কোনো নৌ-যান চলাচলে সম্পূর্ণরূপে নিষেজ্ঞা রয়েছে। এতে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। বরিশালগামী যাত্রী ইকবাল হোসেন জানান, তিনি দুইদিন অপেক্ষা করেও ফেরি পাননি। পরে উপায়ন্তর না পেয়ে রোববার স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে নিয়ে ট্রলারে রওনা হয়েছেন। জীবনের ঝুঁকি জেনেও তিনি বাড়ির পথে পা বাড়ান।খাগড়াছড়ি থেকে আসা রেজিয়া সুলতানা বলেন, একদিন অপেক্ষা করেও ফেরি ও লঞ্চ না পেয়ে তিনি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ভোলার উদেশ্যে রওনা হয়েছেন। বিকল্প না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সন্তানদের নিয়ে নদীতে নেমেছেন।লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরী হাট ফেরিঘাটের সহকারী ম্যানেজার মো. ফয়সাল জাগো নিউজকে বলেন, ফেরিঘাটের স্থান পরিবর্তন হয়ে গেদুড়িয়া যাওয়ায় এ পাড়ের ফেরি মজুচৌধুরী ফেরিঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়ার পর ঘাটে পৌঁছাতে আট থেকে ১০ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। তিনি বলেন, সেখান থেকে লক্ষ্মীপুর ঘাটে পৌঁছাতে একই সময় লেগে যায়। এতে নৌপথে যাতায়াতকারী যাত্রীদের কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে। একইভাবে আমরা যাত্রীবাহী বাসগুলো আগে পারাপারের চেষ্টা করি।কাজল কায়েস/এসএস/আরআইপি
Advertisement