বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় এক কিশোরীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে রাতভর ধর্ষণ করেছে এক যুবলীগ নেতা। পরে ঘটনাটি স্থানীয় ভাবে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে পুলিশ ওই যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে।এ ঘটনায় থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার রাতে এই ঘটনার পর সোমবার ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।জানা গেছে, শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক ইউনিয়নের ফুলতলা গ্রামের বাসিন্দা মাছ বিক্রিতা নিরঞ্জনের কিশোরী মেয়ে (১৫) ঢাকায় একটি বাসায় গৃহকর্মির কাজ করে। কয়েকদিন আগে ওই কিশোরী বাড়িতে আসে। রোববার রাত ১১টার দিকে পার্শ্ববর্তী আটমুল ইউনিয়নের ডাবুইর গ্রামের মোজাহার আলীর ছেলে ও আটমুল ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য হোমিও চিকিৎক মোফাজ্জল হোসেন জিন্নাহ (৪৫) দলবলসহ ওই কিশোরীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর রাতভর ধর্ষণ করে সোমবার সকালে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য তার বাবা-মাকে শাসিয়ে যায়। গ্রামের লোকজনের মাঝে বিষয়টি জানাজানি হলে যুবলীগের ওই নেতা স্থানীয়ভাবে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে গ্রামের লোকজনের সহযোগিতায় ধর্ষিতার মা তার মেয়েকে নিয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ করে। পুলিশ অভিযোগ পাবার পরই যুবলীগ নেতা জিন্নাহকে গ্রেফতার করে।শিবগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, ধর্ষিতার জবানবন্দী নিয়ে দ্রুত মামলা রেকর্ড এবং আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শিবগঞ্জ থানা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম লিটন বলেন, ধর্ষণের ঘটনা সত্য। আর জিন্নাহ আমাদের আগের কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য পদে ছিলো। এখন নতুন কমিটিতে তাকে রাখা হয়নি।লিমন বাসার/ এমএএস/পিআর
Advertisement