ক্যাসিনো সম্রাট খ্যাত যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের তিনটি বাসায় অভিযান চালাচ্ছে র্যাব। এর মধ্যে মহাখালীতে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর একটি বাসা এবং শান্তিনগর ও ধানমন্ডিতে সম্রাটের দুটি বাসায় অভিযান শুরু করে র্যাব।
Advertisement
রোববার দুপুর আড়াইটায় সম্রাটের শান্তিনগরের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব-৩ এর একটি দল। র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাফিউল্লাহ বুলবুল বলেন, দুপুরে সম্রাটের নিয়ন্ত্রণাধীন শান্তিনগরের বাসায় অভিযান শুরু করে র্যাব।
র্যাব-২ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, সম্রাট গ্রেফতারের পর তাকে নিয়ে কাকরাইলে অভিযান চলছে। পাশাপাশি র্যাব-২ এর অধীনে মহাখালীতে তার স্ত্রীর বাসায় অভিযান চালানো হচ্ছে।
র্যাবের আরেকটি সূত্র জানায়, ধানমন্ডিতেও সম্রাটের আরেকটি বাসায় অভিযান চালাচ্ছে র্যাব। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
Advertisement
এর আগে দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে তালা ভেঙে সম্রাটের কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়ে।
আজ ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় আত্মগোপনে থাকা সম্রাটকে। তার সঙ্গে আরমান নামে তার এক সহযোগীকেও আটক করা হয়। পরে ঢাকায় এনে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদও করে র্যাব।
এদিকে যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী ওরফে সম্রাটকে সংগঠনটি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দুপুরে জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর সম্রাটের নাম আসার পর থেকেই তাকে নিয়ে নানা গুঞ্জন রয়েছে। অভিযান শুরুর পর হাইপ্রোফাইল কয়েকজন গ্রেফতার হলেও খোঁজ মিলছিল না সম্রাটের। এসবের মধ্যেই তার দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরপর শনিবার রাত থেকেই তার গ্রেফতার হওয়ার খবর এলেও রোববার সকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
Advertisement
এআর/জেইউ/বিএ/এমকেএইচ