জাতীয়

ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনায় সমন্বিত আইনের অনুশাসন

সরকারি খাতে ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনায় একটি সমন্বিত আইন করার জন্য অনুশাসন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুশাসন দেওয়া হয়। বৈঠকে ‘বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ট্রাস্ট আইন, ২০১৫’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়ে এই অনুশাসন দেয় মন্ত্রিসভা। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, অনুমোদিত আইনের আওতায় ‘বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ট্রাস্ট’ পরিচালিত হবে। বিজ্ঞান গবেষণা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য গবেষণার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ফেলোশিপ দিয়ে থাকে। ট্রাস্ট করার জন্য এই আইনে ১৮টি ধারা আছে। এর মধ্যে ট্রাস্ট গঠন, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য, ব্যবস্থাপনা, ট্রাস্টি বোর্ডের গঠন, সভা পরিচালনা, তহবিল সংরক্ষণ, বাজেট-হিসাব-নিরীক্ষা কীভাবে হবে- তা যুক্ত করা হয়েছে। ১৩ সদস্য বিশিষ্ট ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী। ভাইস চেয়ারম্যান হবেন ওই মন্ত্রণালয়ের সচিব। এছাড়া আইসিটি, শিক্ষা, অর্থ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ বিভাগের প্রতিনিধি ছাড়াও ইউজিসির প্রতিনিধি এবং বিজ্ঞান বিষয়ক দু’জন অধ্যাপক থাকবেন।  সচিব আরো জানান, সরকার ও অন্যান্য উৎস থেকে অর্থ নিয়ে ট্রাস্ট তহবিল গঠিত হবে। আইনের অধীনে সরকার বিধিমালা এবং সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে ট্রাস্ট নিজেরা প্রবিধিমালা তৈরি করতে পারবে। তিনি আরো বলেন, সরকারি খাতে ট্রাস্ট পরিচালনা ও রেগুলেট করার জন্য একটা আইন হবে, তার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আইন করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিক্রমে লেজসিলেটিভ বিভাগকে দায়িত্ব দিয়েছি, তারা কাজ শুরু করেছে। এতে প্রত্যেক ট্রাস্টের জন্য আলাদা আইনের দরকার হবে না।মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা জানান, পাশাপাশি মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে একটা ‘আমব্রেলা ল’ করা হবে। বেসরকারি খাতে ট্রাস্ট গঠনের জন্য আইন আছে। তেমনি সরকারিখাতে ট্রাস্ট গঠনের জন্য একটা আইন হবে। যাতে ভবিষতে প্রত্যেক ট্রাস্টের জন্য আলাদা আলাদা আইন করার প্রয়োজন না পড়ে। এসএ/এসকেডি/পিআর

Advertisement