লাইফস্টাইল

দুশ্চিন্তা করলেই পেটে সমস্যা? জেনে নিন সমাধান

দূরে কোথাও জার্নির আগে, পরীক্ষা শুরুর আগে কিংবা কোনোকিছু নিয়ে দুশ্চিন্তা করলেই পেটে মোচড় দিচ্ছে? ঘনঘন পায়খানার চাপ পাচ্ছে? ভাবছেন, বাথরুমে বসতে পারলে বুঝি ভালো হতো। কোথাও বের হওয়ার সময় কিংবা দুশ্চিন্তার কারণে ঘনঘন বাথরুমে যাওয়াকে অনেকে পেটে সমস্যা বলে মনে করে থাকেন।

Advertisement

কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, এটি মোটেই পেটের অসুখ নয়, বরং খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনের অনিয়মের কারণেই আপনি এই সমস্যায় ভুগছেন। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় রোগটির নাম ‘ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম’ বা আইবিএস। এই রোগে রোগীর নিয়মিত মলত্যাগের অভ্যাসটাই বদলে যায়। যখন তখন মলত্যাগের প্রবণতা তৈরি হয়। বিশেষত উদ্বেগের সময় সমস্যা বাড়ে।

উদ্বেগ, মানসিক চাপ এই ধরনের মানসিক সমস্যাগুলোর সঙ্গে সরাসরি হজমের কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু এই সমস্যাগুলো আমাদের জীবনযাপনে যে বড় পরিবর্তন আনে, সেগুলোই আমাদের আইবিএস-এর দিকে ঠেলে দেয়।

নিয়মিত ঘুমের অভাব, জাঙ্কফুড বেশি খাওয়া আইবিএসের কারণ। একটা সময় শুধু ব্যাকটিরিয়াল ইনফেকশনকে আইবিএসের কারণ মনে করা হতো। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, আরও নানা কারণে কোলনের গতি অস্বাভাবিক হয়ে গিয়ে এই রোগ হতে পারে। আগে পঞ্চাশোর্ধদের মধ্যে এই রোগ বেশি দেখে যেত। এখন কমবয়সিরাও অনেকে এই রোগে আক্রান্ত। এটিকে আজকাল লাইফস্টাইল ডিজিজের তালিকায় ফেলা হয়।

Advertisement

মূল উপসর্গ:এই অসুখে মূলত তলপেটে মাঝে মাঝেই মোচড় দেয়া ব্যথা হয়। সঙ্গে যখন তখন মলত্যাগের প্রবণতা দেখা যায়। এছাড়াও মলদ্বার থেকে রক্তপাত, বমিভাব ও রক্তালপাতও দেখা যায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে।

উপসর্গ অনুযায়ী আইবিএসের চিকিৎসা বদলায়। জীবনাচরণ বা খাদ্যাভাসের পরিবর্তনে সমস্যার অর্ধেক সমাধান সম্ভব। এর সঙ্গে অল্প কিছু ক্ষেত্রে কিছু ওষুধের প্রয়োজন হয়।

যা করবেন:

* প্রতিদিন একই সময়ে খাওয়া অভ্যাস করুন। দুপুর বা রাতের খাবার বাদ দেওয়া চলবে না।

Advertisement

* রাতের খাওয়ার সময় এগিয়ে আনুন।

* অতিরিক্ত চা-কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন।

* ডাল ও ডালজাতীয় খাবার, অতিরিক্ত ফল, ফলের জুস এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

* দুধ-দুধজাতীয় খাবার কম খাবেন। তবে কিছু ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিক খানিকটা উপকারও করে। শরীরের ধরনের উপর নির্ভর করে তা। তাই এক্ষেত্রে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নিন।

* প্রতিদিন কমবেশি ব্যায়াম করুন। খুব চাপ থাকলে হাঁটুন। তাতে পরিপাকতন্ত্র ভালো থাকবে।

এইচএন/এমএস