গত চার মাস ধরে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল হংকংয়ে মুখোশ পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাহী ক্যারি ল্যাম। মূলত গণআন্দোলনে রুপ নেয়া বিক্ষোভ দমনের লক্ষ্যেই ঔপনিবেশিক যুগের জরুরি আইন প্রয়োগ করলো কর্তৃপক্ষ।
Advertisement
বিবিসি ও সিএনএন তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আগামী কাল (৫ অক্টোবর) থেকে আইনটি কার্যকর হবে। মন্ত্রিসভার সদস্যদের (নির্বাহী পরিষদ) সঙ্গে বৈঠকের পর শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি ল্যাম এ ঘোষণা দেন। ঘোষিত এই আইনের কারণে এখন থেকে হংকংয়ের জনসমাবেশে মুখোশ পরলে তাকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করে শাস্তি প্রদান করা হবে। ক্যারি ল্যাম যখন এই ঘোষণা দেন তখনও গোটা হংকংয়ে হাজারো বিক্ষোভকারী রাজপথে তাদের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছিলেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শুক্রবার ক্যারি ল্যামের এমন ঘোষণার পর বিক্ষোভকারীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। সন্ধ্যায় বিক্ষোভ আরও জোরালো করার পরিকল্পনার কথা জানায় তারা। হংকংয়ের প্রাণকেন্দ্রে বিক্ষোভকারীরা এ নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।
সংবাদ সম্মেলনে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়ে প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম বলেন, পরিস্থিতির যাতে আরও অবনতি না ঘটে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাহী পরিষদ। তিনি এই সিদ্ধান্তকে খুব প্রয়োজনীয় বলে মত প্রকাশ করেন। তবে এটি জাতীয় জরুরি অবস্থা নয় বলেও জানিয়েছে ল্যাম।
Advertisement
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, আইনটি খুবই বিতর্কিত তাছাড়া এটি কার্যকর করাও বেশ কঠিন হবে। হংকংয়ে বিক্ষোভের বিরুদ্ধে এটিই সম্ভবত প্রথম এমন কড়া পদক্ষেপ বলে সতর্ক করেছেন সমালোচকরাও। তাদের আশঙ্কা, এতে হংকংয়ে বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হবে এবং ভিন্নমতাবলম্বীরা বিপদগ্রস্ত হবে।
গণতন্ত্রপন্থি এক আইনজীবী বলেছেন, ‘এটি কেবল মাত্র শুরু। সামনে আইনের নামে আরও অনেক কঠোর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আন্দোলনকারীদের কোণঠাসা করা হতে পারে বলে আমি উদ্বিগ্ন।’জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন মহলও এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
এসএ/এমকেএইচ
Advertisement