ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের কড়া নজরদারির কারণে যশোরের বেনাপোল-শার্শা সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু আসা বন্ধ রয়েছে। কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর হঠাৎ করে আবারো বন্ধ করে দিয়েছে গরু আসা। এ কারণে এবার কোরবানির ঈদে গরুর বাজার অনেক চড়া রয়েছে। অন্যবারের তুলনায় গরুর দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। দেশি গরু ছাড়া সীমান্ত এলাকার বাজারগুলোতে গরু উঠছে না। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এসব এলাকা দিয়ে গরু আসা বন্ধ রয়েছে, ফলে দেশীয় খামারিরা কিছুটা লাভবান হলেও সীমান্ত এলাকায় খাটাল মালিকরা পড়েছনি বিপাকে। একটি বিট/খাটাল পরিচালনা করতে একজন খাটাল মালিকের জমি লিজ নেয়া থেকে শুরু করে মন্ত্রণালয় থেকে লাখ লাখ টাকা খরচ করে অনুমতি (খাটাল ইজারা) নিয়েছেন। ভারতীয় গরু না আসায় তাদের চোখে ঘুম নেই। সীমান্তের সূত্রগুলো জানায়, বিএসএফের কড়াকড়িতে ফেব্রুয়ারি থেকে ভারতীয় গরু আসা বন্ধ হয়ে যায়। গত ৫ সেপ্টেম্বর ৬৬৯টি ও ৬ সেপ্টেম্বর শার্শার রুদ্রপুর ও ভুলাট সীমান্ত পথে ভারত থেকে ৯৮৩টি গরু এসেছিলো। কিন্তু বিধান চন্দ্র নামে ভারতীয় ঘাট মালিক গরু ব্যবসায়ীকে বিএসএফ কর্তৃক জেলে পাঠানোয় গরু ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। ফলে গরু আসা বন্ধ হয়ে যায়। বেনাপোল সীমান্তের সবচেয়ে বড় পুটখালি গরু খাটলের মালিক নাসিম রেজা পিন্টু জাগো নিউজকে জানান, ফেব্রুয়ারি থেকে পুটখালী সীামন্ত দিয়ে ভারতীয় গরু আসা বন্ধ থাকায় তিনি আর্থিক লোকসান গুণছেন। পুটখালী ছাড়াও শার্শা সীমান্তে মোট পাঁচটি খাটাল রয়েছে। নাভারন ভ্যাট অফিসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা হাফিজ উদ্দিন জাগো নিউজকে জানান, শার্শা ও বেনাপোল সীমান্তে ৫টি অনুমোদিত গরুর খাটাল রয়েছে। এগুলো হলো, বেনাপোলের পুটখালী সীমান্তে নাসিম রেজা পিন্টুর গরুর খাটাল, দৌলতপুর সীমান্তে নাজিম উদ্দিনের, শার্শার অগ্রভুলাট আব্দুর রশীদ এর গরুর খাটাল, গোগার আহসানুল ইসলাম পিন্টুর গরুর খাটাল ও রুদ্রপুরের কামরুল ইসলামের গরুর খাটাল।পুটখালী বিজিবির ক্যাম্প কমান্ডার শফি উদ্দিন জাগো নিউজকে জানান, বিএসএফ সীমান্তে আবারো কড়াকড়ি আরোপ করায় ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীরা গরু আনা বন্ধ করে দিয়েছেন। যার ফলে পুটখালী সীমান্ত দিয়ে গরু আসা বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, গত ১৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার পুটখালী খাটালে মাত্র তিনটি গরু এসেছে। ভারতীয় গরু না আসায় গরু মিলছে না হাটে। দেশে উৎপাদিত যে গরু উঠছে তার দামও চড়া হওয়ায় অনেকে গরু কিনতে পারছে না। এদিকে সীমান্তের খাটালগুলোতে গরু না উঠায় অনেক গরু ব্যবসায়ী বেকার হয়ে পড়েছেন। মো. জামাল হোসেন/এমজেড/পিআর
Advertisement