স্বাস্থ্য

ফার্মেসির ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন ফি চারগুণ বৃদ্ধি

রাজধানীতে ওষুধের দোকানের ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন ফি চারগুণ বেড়েছে। গত বছর ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত ট্রেড লাইসেন্স ফি মাত্র ৩৯০ টাকা থাকলেও এ বছর তা বৃদ্ধি পেয়ে ২ হাজার ৬শ’ টাকায় দাঁড়িয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ফার্মেসি মালিকদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, গত বছর ট্রেড লাইসেন্স ফি বাবদ ৩৯০ টাকা ও আয়কর বাবদ ৫০০ টাকাসহ মোট ৮৯০ টাকা খরচ করেই ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে সমর্থ হয়েছিলেন তারা। কিন্তু এ বছর নবায়ন করতে গিয়ে বিস্মিত হন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানান, লাইসেন্স নবায়ন করতে হলে মোট ৩ হাজার ৭৮৩ টাকা পরিশোধ করতে হবে। তারা জানান, মোট টাকার মধ্যে ট্রেড লাইসেন্স ফি ২ হাজার ৬০০ টাকা, আয়কর ৫০০ টাকা এবং ভ্যাট বাবদ ৬৮৩ টাকা। গত বছর পর্যন্ত ভ্যাট না ধরা হলেও এ বছর বার্ষিক ১৭০ টাকা ৭৫ পয়সা হারে গত চার বছরের বকেয়া ভ্যাটসহ ৬৮৩ টাকা আদায় করা হচ্ছে। হঠাৎ করে অস্বাভাবিকহারে চারগুণেরও বেশি ট্রেড লাইসেন্স বৃদ্ধির ফলে অসংখ্য ফার্মেসি মালিক বিপাকে পড়েছেন। রাজধানীর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ধানমন্ডি, জিগাতলা, কলাবাগান, হাতিরপুল ও শাহবাগসহ বিভিন্ন ফার্মেসির মালিকরা জাগো নিউজের এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে সংসারের খরচ মেটাতে এমনিতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। প্রতিদিনের বাসার বাজার, ছেলে-মেয়েদের স্কুল, কলেজ, প্রাইভেট শিক্ষকের বেতনসহ খরচের শেষ নেই। ফার্মেসি থেকে যে টাকা আয় হয় তাতে কর্মচারীসহ সব খরচ বাদ দিয়ে হাতে যা থাকে তা দিয়ে খরচ মেটানো দুরূহ হয়ে পড়ে। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সিটি করপোরেশনের নতুন মেয়ররা আয় বৃদ্ধির জন্য ফি বৃদ্ধি করতেই পারেন কিন্তু এক লাফে চারগুণের বেশি ফি বৃদ্ধি শুধু  অযৌক্তিকই নয়, মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা। তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত বছর লাইসেন্স/নবায়ন ফি তিনশ’ ও সাইনবোর্ড কর ৯০ টাকা ধরা হয়। এ বছর লাইসেন্স/নবায়ন ফি দুই হাজার টাকা ও সাইনবোর্ড কর ছয়শ’ টাকা ধরা হয়েছে। আয়কর গত বছর ও এ বছর পাচশ’ টাকা ধরা হয়েছে। নতুন যোগ হয়েছে ছয়শ’ ৮৩ টাকার ভ্যাট। এমইউ/এসএইচএস/এমএস

Advertisement