পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ও কালিকাপুর ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের প্রায় ১১ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
Advertisement
তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট, বসতবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিস্তৃর্ণ এলাকার ফসলি জমি। বন্ধ হয়ে গেছে নিম্নাঞ্চলের ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। পানিবন্দি পরিবারগুলো চলাফেরা ও গবাদিপশুর খাবার নিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে। নৌকা এখন তাদের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম।
এদিকে পানি বৃদ্ধি ও তীব্র স্রোতে রতনদিয়ার বেশ কয়েকটিস্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভুক্তভোগীরা জানান, হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের এলাকায় ফসলি জমি, রাস্তা-ঘাট, বসতবাড়ি তলিয়ে গেছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্ধ হয়ে গেছে। যাতায়াত, রান্না-বান্না ও গবাদিপশুর খাবার নিয়ে চরম সম্যসায় পড়েছেন। এখন পর্যন্ত কারো পক্ষ থেকে কোনো সহযোগিতা পাননি। বাড়ির চারপাশে পানি থাকায় চলাচলের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে নৌকা ব্যবহার করছেন তারা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, হঠাৎ পানি বৃদ্ধিতে উপজেলার রতনদিয়ার ৮ হাজার ও কালিকাপুরের ৩ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এরমধ্যে ২ হাজার ২৭০ জন ক্ষতিগ্রস্তের তালিকা তৈরি করেছেন। তবে আজ (২ অক্টোবর) দুপুর পর্যন্ত কোনো বরাদ্দ পাননি। বরাদ্দ পেলে তালিকা অনুযায়ী সহায়তা দেবেন।
Advertisement
কালুখালী উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ জানান, পদ্মায় পানি বৃদ্ধির কারণে কয়েকদিন ধরে রতনদিয়া ও কালিকাপুরে ৫টি বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। বিদ্যালয়গুলো হলো- হরিণডাঙ্গা, হরিণবাড়ীয়া, কৃষ্ণনগর, কৃষ্ণনগর আব্দুল কুদ্দুস ও পশ্চিম হরিণবাড়ীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। পানি কমে গেলে পুনরায় পাঠদান শুরু করা হবে এবং বিশেষ ক্লাসের মাধ্যমে তা পুষিয়ে নেয়া হবে।
জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে নিম্নাঞ্চলের পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তালিকা তৈরি শেষ হলে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে জিআরের চাল বিতরণ করা হবে। এছাড়া বন্যার বিষয় মাথায় রেখে আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনো খাবার রয়েছে। চিকিৎসার জন্য সিভিল সার্জন ও বিশুদ্ধ খাবার পানির জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।
রুবেলুর রহমান/এমএমজেড/এমএস
Advertisement