আপনজনদের সঙ্গে ঈদ করতে নাড়ীর টানে রাজধানী ছাড়ছে ঘরমুখো মানুষ। ঈদুল আজহার এখনো বাকি তিন দিন কিন্তু অতিরিক্ত ঝক্কি-ঝামেলা এড়াতে আগেভাগেই চলে যাচ্ছেন অনেকে।সোমবার সকালে সায়েদাবাস বাস টার্মিনাল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এ টার্মিনালে বাসের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকায় ঈদের আগে অন্যান্য টার্মিনালের চেয়ে ভিড় কম থাকে। অনেকটা স্বাচ্ছন্দেই বাড়ি যেতে পারেন যাত্রীরা। পাশাপাশি এই রুটে যাতায়াতে লঞ্চ ও ট্রেনের ব্যবস্থা থাকায় তেমন ভোগান্তিতে পড়তে হয় না এই অঞ্চলের মানুষদেরকে। তাই এখনো ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড় নেই সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে।সায়েদাবাস বাস টার্মিনাল দিয়ে মূলত কুমিল্লা, ফেনী, চট্টগ্রাম, সিলেট ও চাঁদপুরসহ দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের লোকেরা যাতায়াত করেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকেই পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়িতে রওনা করেছেন অনেকে। অগ্রিম টিকিট না থাকলেও তাৎক্ষণিক টিকিট নিয়েই বাড়ির দিকে রওনা করেছেন যাত্রীরা।এদিকে দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলমূখী পরিবহনগুলো অগ্রিম টিকিট বিক্রি না করলেও শ্যামলী, হানিফ ও ইউনিট পরিবহন অগ্রিম টিকিট বিক্রি করেছেন। যেসব যাত্রী এসব পরিবহনে অগ্রিম টিকিট ক্রয় করেছেন তারাও সকাল থেকেই বাড়ির দিকে ছুটছেন।অন্যদিকে তাৎক্ষনিক বাস পাওয়ার সুযোগ থাকায় অনেকে অগ্রিম টিকিট ক্রয় না করলেও সায়েদাবাদে এসে টিকিট ক্রয় করে ঢাকা ত্যাগ করার সুযোগ পাচ্ছেন।চট্টগ্রামমুখী তবিবুর রহমান নামে একজন যাত্রী বলেন, তাদের রুটে পর্যাপ্ত গাড়ির ব্যবস্থা থাকায় কোন ধরনের হয়রানির মুখে না পড়েই পরিবার পরিজনকে নিয়ে রওনা করছেন তিনি।তিনি জানান, ঈদের আরো তিন দিন বাকী থাকায় এখনো এই রুটে যাত্রীদের তেমন চাপ পড়েনি বলেও জানান তিনি।এদিকে হানিফ পরিবহনের একজন কর্মকর্তা জাগাে নিউজকে জানান, অনলাইন ও কাউন্টার থেকে তারা অগ্রিম টিকিট বিক্রি করেছেন। এছাড়া তাৎক্ষনিকভাবেও তাদের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে।ইউনিট পরিবহনের তরিকুল ইসলাম জানান, ঈদের আগের দিন হয়তো অনেক চাপ পড়বে। তবে আজও যাত্রী পরিবহনে তাদের তেমন কোন চাপ নেই বলেও জানান তিনি।এমএম/এআরএস/এমএস
Advertisement