মাহফুজ আনাম জেমস। ভালোবেসে সবাই তাকে জেমস বা গুরু বলেই ডাকেন। এই উপমহাদেশে তাকে বলা হয় সেরা রকস্টার। তার গান ভক্তদের নিয়ে যায় ভাবের অন্য জগতে। তিনি যেমন প্রেমে নন্দিত, তেমনি তার কণ্ঠে ‘মা’, ‘বাবা’, ‘বাংলাদেশ’ গানগুলোও দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এই ব্যান্ড লিজেন্ডের আজ জন্মদিন।
Advertisement
জাগো নিউজ পরিবারের পক্ষ থেকে রইল তার প্রতি শুভেচ্ছা ও জীবনের নতুন বছরে অভিনন্দন। এবারে ৫৪ বছরে পা দিলেন জেমস। ১৯৬৪ সালের এই দিনে নওগাঁয় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বেড়ে ওঠা চট্টগ্রামে।
জেমসের বাবা ছিলেন একজন সরকারি কর্মচারি, যিনি পরবর্তীতে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরিবারের অমতেই সংগীত চর্চা শুরু করেন জেমস। বাবার সঙ্গে গান নিয়ে অভিমান করে বাড়ি ছেড়ে চলে আসেন। সংগীতের নেশায় ঘর ছেড়ে পালিয়ে যান। চট্টগ্রামের আজিজ বোর্ডিং নামক একটি বোর্ডিং-এ তিনি থাকতে শুরু করেন। সেখানে থেকেই তার সংগীতের ক্যারিয়ার শুরু হয়।
১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ‘ফিলিংস’ নামক একটি ব্যান্ড। জেমস নিজেই ব্যান্ডের প্রধান গিটারিস্ট ও ভোকালিস্ট ছিলেন। ১৯৮৭ সালে তার প্রথম অ্যালবাম ‘ষ্টেশন রোড’ প্রকাশ পায়। যদিও অ্যালবামটি সে সময়ের শ্রোতাদের গান শোনার রুচির সাথে একটু ভিন্ন মেজাজের হওয়ায় জনপ্রিয়তা পায়নি। পরে ১৯৮৮ সালে ‘অনন্যা’ নামের অ্যালবাম রিলিজ করে সুপার হিট হয়ে যান জেমস।
Advertisement
এরপর ১৯৯০ সালে ‘জেল থেকে বলছি’, ১৯৯৬ ‘নগর বাউল’, ১৯৯৮ সালে ‘লেইস ফিতা লেইস’, ১৯৯৯ সালে ‘কালেকশন অফ ফিলিংস’ অ্যালবাম গুলো ফিলিংস ব্যান্ড থেকে বের হয়।
এছাড়াও জেমসের অন্যান্য অ্যালবামগুলো হল নগর বাউল থেকে ‘দুষ্টু ছেলের দল’, ‘বিজলি’। একক অ্যালবাম ‘অনন্যা’, ‘পালাবি কোথায়’, ‘দুঃখিনী দুঃখ করোনা’, ‘ঠিক আছে বন্ধু’, ‘আমি তোমাদেরই লোক’, ‘জনতা এক্সপ্রেস’, ‘তুফান’, ‘কাল যমুনা’ ।
এরপর তিনি চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেও সফল হয়েছেন। ‘দেশা দ্য লিডার’ ছবির জন্য গান করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। জেমসের জনপ্রিয়তা শুধু দেশে নয়, আর্ন্তজাতিক পরিমণ্ডলেও ব্যাপক জনপ্রিয় এই তারকা।
বাংলা গানের পাশাপাশি হিন্দি গানে কণ্ঠ দিয়েও জয় করেছেন লক্ষ ভক্ত শ্রোতার হৃদয়। পাশাপাশি বলিউডের ছবিতে গান গেয়েও পেয়েছেন তুমুল জনপ্রিয়তা। এখনও সমান তালে দেশে বিদেশে কনকার্ট করে চলেছেন জেমস। গানের মধ্যে ডুবেই কাটে তার প্রতিটা দিন।
Advertisement
এমএবি/জেআইএম